নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের আরও আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এ সময় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়ে উচ্চ আদালত বলেছেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান ঝামেলা এড়াতে সবকিছু গুছিয়ে তাদের ভোটের মাঠে নামা উচিত।
Advertisement
প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাহাঙ্গীর আলমের করা রিটের শুনানিতে সোমবার (৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ফিদা এম কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এম কে রহমান ও নকিব সাইফুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। এ সময় মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ফিদা এম কামাল বলেন, জাহাঙ্গীর আগেই ঋণ পরিশোধ করেছেন। তখন আদালত বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে কি কি সমস্যা হতে পারে এটা সবাই জানেন। তাই তার (জাহাঙ্গীর আলমের) আরও আগে ঋণ পরিশোধ করা উচিত ছিল।
Advertisement
এরপর আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের রিট চলতে পারে না। কারণ ওনি ঋনের টাকাটা ঠিক মতো দেননি। মঞ্জুর কাদেরের মামলার রেফারেন্স টানেন জাহাঙ্গীর আলমের আইনজীবী।
বেলা পৌনে ১২টায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিটের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে রোববার (৭ মে) মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম। রিটে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গত ৪ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীর আলমের করা আপিল নামঞ্জুর হয়।
Advertisement
গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তবে তার মা জায়েদা খাতুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান। জাহাঙ্গীর আলম দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম