২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিক, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে আদানি পাওয়ারের নেট মুনাফা (ট্যাক্স বাদে মুনাফা) দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪২ কোটি রুপি। গত বছর একই সময়ে সংস্থাটির নেট মুনাফা ছিল ৪ হাজার ৬৪৫ কোটি রুপি। অর্থাৎ, এক বছরের ব্যবধানে তিন মাসের হিসাবে তাদের নেট মুনাফা বেড়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আদানি পাওয়ার।
Advertisement
ভারতীয় স্টক এক্সচেঞ্জের নথিতে শুক্রবার (৫ মে) গৌতম আদানির সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২-২৩ সালে ট্যাক্স দেওয়ার পরে আদানি পাওয়ারের সমন্বিত মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭২৭ কোটি রুপি। এটি ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১১৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। ওই বছর সংস্থাটির নেট মুনাফা ছিল ৪ হাজার ৯১২ কোটি রুপি।
আরও পড়ুন>> বিদ্যুৎ আমদানি: আদানির সঙ্গে চুক্তি সংশোধন চায় বাংলাদেশ, ভারত বললো ‘জড়িত নই’
এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদানি পাওয়ারের সমন্বিত মোট আয় ৪৩ হাজার ৪১ কোটি রুপিতে পৌঁছেছে। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩১ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি। অর্থাৎ, এক বছরে তাদের মোট আয় বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
Advertisement
আয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংস্থাটি শুল্ক আদায়ে উন্নতি এবং কয়লার উচ্চ আমদানি মূল্যের কথা উল্লেখ করেছে।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেছেন, বিশ্বমানের পরিকাঠামো সুবিধার জন্য ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা তার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্প্রিংবোর্ড হিসেবে কাজ করছে। দেশের প্রধান পরিকাঠামো গোষ্ঠী হিসেবে আদানি গ্রুপ এটিকে টেকসই ও নির্ভরযোগ্য উপায়ে পূরণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন>> ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন আদানি
আদানি গ্রুপের অঙ্গসংস্থা আদানি পাওয়ার ভারতের অন্যতম প্রধান বেসরকারি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনকারী। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্য প্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে ১৪ হাজার ৪১০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে সংস্থাটি। এছাড়া গুজরাটে ৪০ মেগাওয়াটের একটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে তাদের।
Advertisement
আরও পড়ুন>> আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্র: বাংলাদেশের জন্য নির্মিত ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু
আদানি পাওয়ারের প্রধান নির্বাহী (সিইও) এসবি খেয়ালিয়া বলেছেন, গোড্ডা আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ৮০০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু করার মাধ্যমে আমরা আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছি। এটি বাংলাদেশকে বিদ্যুতের একটি নির্ভরযোগ্য উত্স সরবরাহ এবং এর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
সূত্র: এএনআই, এনডিটিভিকেএএ/