সাহিত্য

ঢাকায় চীনা সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রয়োজন

বাংলাদেশে চীনের সংস্কৃতি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে তা দুই দেশের সংস্কৃতি বিনিময়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এমন অভিমত উঠে এসেছে চায়না মিডিয়া গ্রুপ বাংলা (সিএমজি) আয়োজিত ‘সিএমজির নতুন অগ্রযাত্রা: চীন বিষয়ক বই প্রকাশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইয়ুয়ে লি ওয়েন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

বেইজিং থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সিএমজি বাংলা বিভাগের পরিচালক ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দি।

আরও পড়ুন: পানাম সিটিতে সাংস্কৃতিকধারার সাহিত্য আড্ডা

Advertisement

চীন বিষয়ক বইয়ের লেখক ও প্রকাশকদের আলোচনা সভায় মতামত ব্যক্ত করেন কবি আলমগীর রেজা চৌধুরী, ভ্রমণগদ্য লেখক শাকুর মজিদ, সাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনির, সেলিম সোলায়মান, কবি মনসুর আজিজ, মসিউল আলম, ইমরুল কায়েস, প্রকাশক জাকির হোসাইন, মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, হাসান তারেক প্রমুখ।

বেইজিং থেকে যুক্ত হন সিএমজি বাংলার সাংবাদিক আলিমুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাটাশে সুন কাংনিং, লেখক ও প্রকাশক রহীম শাহ, দীলতাজ রহমান, ইমরান মাহফুজ, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাহিত্যকর্মের অনুবাদ বৃদ্ধি করা দরকার। চীনের সাহিত্য বাংলায় অনুবাদ এবং বাংলাদেশের সাহিত্য চীনা ভাষায় অনুবাদ হওয়া প্রয়োজন। দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির জন্য চীনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হওয়া প্রয়োজন।’

বাংলা একাডেমি চীনা ও অন্য ভাষার সাহিত্যের অনুবাদ নিয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আলোচনা চলছে বলে জানান মহাপরিচালক।

Advertisement

আরও পড়ুন: জাগো নিউজে বিয়ের গল্প লিখে বিজয়ী হলেন ১০ জন

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘একটি দেশের পরিচিতি তুলে ধরতে হলে সে দেশের সেরা গুণীজনদের পরিচয় তুলে ধরতে হয়।’ তিনি চীন ও বাংলাদেশের সাহিত্য অনুবাদের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর ইয়ুয়ে লি ওয়েন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতি ভালোবাসি।’ চীন ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কাজ এগিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সিএমজি বাংলার সংবাদকর্মী এবং দর্শক-শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।

এসইউ/জিকেএস