গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ফের তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তাকে দেওয়া হয়েছে প্রার্থিতা বাতিলের হুঁশিয়ারিও।
Advertisement
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইসি ভবনে জরুরি বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনাররা এ হুঁশিয়ারি দেন। এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকেও ফের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার (৫ মে) সকালে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।
আজমত উল্লা খানকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়ে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আপনার পক্ষে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ৩০ এপ্রিল ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তা সত্বেও ৪ মে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে আপনার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। যেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন। যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। উল্লেখিত কার্যক্রম সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: আচরণবিধি লঙ্ঘন: আজমত উল্লাহকে ইসির তলব
আগেও সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণার ফলে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে ৭ মে বিকেল ৩টায় ব্যাখ্যা দিতে বলা হলো।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকেও ফের ইসির সতর্কতা
অপরদিকে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, ২৫ মে অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ৪ মে প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে মেয়র পদ প্রার্থী মো. আজমতউল্লা খানের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। যেখানে প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন, যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
Advertisement
সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও উল্লিখিত কার্যক্রম সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি। আচরণ বিধিমালার বর্ণিত বিধান লঙ্ঘনের জন্য বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের নিতে তার একান্ত সচিবকে অনুরোধ করা হয়। এর আগে ২৯ এপ্রিল যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের জন্য চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছুটি দিনে জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই বৈঠকে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য মেয়র প্রার্থী আজমতউল্লা খানকে ফের ৭ মে তলব এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে তার একান্ত সচিবের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এসজে/জিকেএস