ভ্রমণ

১৮তম দিনে পা পড়লো অষ্টম রাজ্য তেলেঙ্গানায়

বাবর আলী। পেশায় চিকিৎসক, নেশায় পর্বতারোহী। সাইক্লিং, ম্যারাথন রানও তার সঙ্গী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জয় করেছেন হিমালয়ের সাড়ে ২২ হাজার ফুটের ভয়ংকর চূড়া ‘আমা দাবালাম’। এর আগে হেঁটে ভ্রমণ করেছেন দেশের ৬৪ জেলা। সাইকেল চালিয়ে দেশের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু কৃতিত্ব। এবার দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন বৈচিত্র্যময় দেশ ভারতে। ভূ-স্বর্গখ্যাত কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে বানিহাল, উধমপুর, জম্মু, পঠানকোট হয়ে দিল্লি ও আগ্রা। পরে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র, ঝাঁসী পেরিয়ে প্রবেশ তেলঙ্গানায়। এর পরে অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক হয়ে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে সফর শেষ হবে। তার হিসাবে সব মিলিয়ে ৪৫ দিনে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সফর করবেন তিনি।

Advertisement

এই সফরের প্রতিদিনের গল্প থাকবে জাগো নিউজে। আজ থাকছে ২০তম পর্ব। দিন ১৮। জীবনের কোনো এক পর্যায়ে ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাওয়ার একটা সুপ্ত ইচ্ছা মনের মধ্যে বহুদিন ধরেই আছে। রেড মিটের লালসা-বাসনা থেকে এমনিতেই বেশ নিরাপদ দূরত্বে থাকি। এই রাইডের আগে মাথায় ছিল, যতটা সম্ভব শাকাহারি খাবার খাওয়ার। ভেজিটেরিয়ান খাবার চাখার জন্য আমার এই রাইড অনেকাংশে আদর্শ। প্রোটিন অবশ্য আমি খাচ্ছি, কিন্তু সেগুলো উদ্ভিদজাত কিংবা দুগ্ধজাত প্রোটিন। সবশেষ মাংস খেয়েছিলাম এই মাসের ১০ তারিখে। কাশ্মীরে মুরগি গলাধকরণ করার পরে গত রাতে আবার মাংস খাওয়া হলো।

পেছনের কারণ হলো, মুসলিম এই ধাবায় একটাই পদ রান্না হয়েছে। বললে নিশ্চয় শাকাহারি খাবারের ব্যবস্থা হতো। কিন্তু একজনের জন্য এই কষ্টটুকু ওদের দিতে ইচ্ছা হলো না। তাছাড়া পুরো ধাবার সবাই আইপিএলে পাঞ্জাব বনাম লখনউয়ের ম্যাচে মশগুল। এখানের মালিক থেকে কর্মচারী সবাই হরিয়ানার বাসিন্দা বলে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাবকে সমর্থন করছে। অবশ্য মোস্তফা বাদে। কে এল রাহুলের পাঁড় ফ্যান মোস্তফার সমর্থন লখনউয়ের প্রতি। ছাগলের মাংস রান্না করাই ছিল। রুটিসমেত সেটা খেয়ে প্রায় ১৯ দিনের শাকাহারের পর নন-ভেজ গলায় নামলো।

আরও পড়ুন>> ইডলি-সাম্বারে পেটপুরে দক্ষিণে প্রবেশের প্রস্তুতি নাগপুরে 

Advertisement

টোল প্লাজা পেরিয়ে চলতে শুরু করতেই প্রথম গ্রামের নাম ওয়াডনার। আজ সকাল থেকেই যাত্রীবাহী গরুর গাড়ি চোখে পড়ছে। মহাসড়ক কাঁপিয়ে চলা গো-শকটের দেখা আমাদের দেশে মেলে না। অতিরিক্ত দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাসের চাপে মহাসড়কে প্রাণ জেরবার হয়ে যাবে ধীরগতির এই বাহনের। পরের গ্রামের নাম ওয়ারোরা। এদিকের বাড়িগুলোতে পানির উৎস বিশাল মুখের কুয়োগুলো। এত বড় বেড়ের কুয়ো সচরাচর চোখে পড়ে না। পথের ধারে একটাতে গিয়ে দেখে এলাম, বেড়ে অতিকায় হলেও গভীরতা খুব আহামরি নয়। খানিক এগোতেই পেছনের চাকা পাংচার। আবার সাইকেল সারাইয়ের যন্ত্রপাতিতে হাত দিতে হলো। একটা ধাবার পাশে লিক সারিয়ে পোহানা গ্রামে। ব্রেড পাকোড়া দিয়ে নাশতা সেরে ফের পথে।

পথের দুপাশে গাছ নেই, আছে আগাছা। ডিভাইডারও কাঁটা ঝোপের আগাছায় ভর্তি। রাস্তার পাশে চাষ উপযোগী জমি আছে ব্যাপক। কিন্তু চাষের মানুষ নেই। জনবসতি একেবারেই পাতলা। ওয়াডকি নামক বর্ধিষ্ণু একটা লোকালয় পেরোতে বসতি একেবারে নাই হয়ে গেলো। তবে বসতি নাই হয়ে গেলেও আছে হঠাৎ উদয় হওয়া বার আর রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বোতল। মানজির পর থেকে দূরে দৃশ্যমান হলো সুন্দর সব টিলা। দিগন্তের টিলা মিনিয়েচার আকারে খানাখন্দ হয়ে চলে এলো হাইওয়েতেও। ছোট ছোট এসব খানাখন্দকে দূর থেকে মানচিত্রের মতো মনে হয়। উঁচু অংশগুলো স্থলভাগ আর নিচু অংশ জল। হাইওয়েতে এমন রাস্তার মুখোমুখি পুরো যাত্রায় আর হইনি। পাহাড়ি এলাকাতে রাস্তা খারাপ হয়, সেটা অবশ্যম্ভাবী। শ্রীনগর থেকে উধমপুর অবধি রাস্তা বেশ ভাঙা। কিন্তু মোটামুটি সমতলে এ কেমন হাল রাস্তার!

সামনে এগোতে মাইলের পর মাইল হলদে ঘাসের প্রান্তর। প্রকৃতি এখানে রুক্ষ। এগিয়ে দাহেগাও নামক গ্রাম। মহাসড়ক থেকে অল্প দূরত্বে জটলা পাকানো আট-দশটা লাল টালির বাড়ি নিয়েই এই অঞ্চলের গ্রাম। রাস্তায় মানুষ না থাকলেও মাঝে মধ্যেই রাস্তা অতিক্রমরত হনুমানদের দেখা মিলছে। মানুষের নির্মিত রাস্তাকে ওরা কিংবা অন্য বন্যপ্রাণীরা কোথাও যেতে ব্যবহার করে না। ওদের নিজেদের পথে মানুষের নির্মিত এসব রাস্তা পড়লে আড়াআড়ি অতিক্রম করে শুধু। অনেকটা করিডরের মতো করে ব্যবহার করে। এই অঞ্চলের পাহাড় আর টিলাগুলো ডেকান প্লাটুর অংশ।

আরও পড়ুন>> রুক্ষ ভোপালে ধাবায় রাত্রিযাপনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা 

Advertisement

মহাসড়কের ধারেই মোড়ার পসরা নিয়ে বসেছে এক বিক্রেতা। উত্তর প্রদেশের পরে হাইওয়ের ধারে আর কিছু বিক্রি হতে দেখিনি। মধ্য প্রদেশে তো না-ই। তুলনায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার দিকে মহাসড়কের ধার বিচিত্র জিনিসে ভর্তি। পিপারির ঠিক আগে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামলো। আমি তখন পিপারি অতিক্রম করার বাইপাসে চড়াই ঠেলছি। মিনিট দুয়েকের মধ্যে ভিজে চপচপে। একটা আন্ডারপাসের নিচে আশ্রয় নিয়ে তবে রেহাই পাওয়া গেলো। বৃষ্টি ধরে আসতেই ফের পথে।

টানা প্যাডেল ঘুরিয়ে পান্ধারখাওয়াদা। নাম পড়তেই দাঁত নড়বড়ে। ইয়াভাতমাল জেলার অন্তর্ভুক্ত শহর এই পান্ধারখাওয়াদা। শহরের শেষ মাথায় সুন্দর একটা পাথুরে খাল। নাম সাইখেদা। টোল প্লাজায় একটা অনন্য ঘটনা ঘটতে দেখলাম। টোল দেওয়ার আগে-পরে গাড়ির সামনে যে লোহার বার ওঠানামা করে, সেটা আমি কখনো গাড়ির ওপর পড়তে দেখিনি। সারাজীবন মসৃণভাবে নামতে আর উঠতে দেখাটাই সার। আজ এই লোহার বার একটা গাড়ির ওপর পড়তে দেখলাম। তবে ছুঁয়েই ঘুরে গেলো। প্রাইভেট কারের ক্ষতি হয়নি কোনো।

এগিয়ে কেলাপুর। এখান থেকে সবুজের ছোঁয়া রাস্তায়। দুপাশে অসংখ্য ভুট্টাক্ষেত। ধোকি থেকে ডানের রাস্তা ঢুকে গেছে তিপেশ্বর বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। বনের অভ্যন্তরে অবস্থিত মাতা তিপাইয়ের মন্দিরের নামে নামকরণ করা হয়েছে এর। আয়তনে অনেক অভয়ারণ্যের চেয়ে ছোট হলেও এর মধ্যে দিয়ে বেশ অনেকগুলো নদী বয়ে চলায় এ অঞ্চল বেশ সবুজ। অফিসিয়াল নাম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হলেও এটি জনপ্রিয় বাঘের জন্য। ভারতের অন্য অনেক জনপ্রিয় টাইগার রিজার্ভের তুলনায় এখানে বাঘের ঝটিকা অবলোকনের সুযোগ বেশি। বাঘের গর্জন শোনার সৌভাগ্য কর্ণ দুটোর নেই। বদলে কানে লোস্ট্রাঘাতের মতো বাজছে ঝিঁঝিঁ পোকার কর্ণপটহ বিদীর্ণকারী আওয়াজ।

রাস্তার ধারে রাজস্থানি ধাবার আধিক্য। রাজস্থানিরা ধাবা ব্যবসায় এ অঞ্চলে অগ্রগণ্য। এছাড়া আছে হরিয়ানার মেওয়াটের লোকেরা। ভারতের যে কোনো মহাসড়কে এদের দেখা পাওয়া যায়। গাড়ির নম্বর প্লেটে টিএস লেখার আধিক্য। নাহ, এরা কেউ ইংরেজ কবি টি এস এলিয়টের ভক্ত নন। টিএস আদ্যক্ষর দুটি তেলেঙ্গানা স্টেট নির্দেশ করে। টানা প্যাডেল মেরে পিম্পালকুঠি নামক ছোট্ট জনপদ। রাস্তার ধারেই সুন্দর মন্দির আছে এখানে। রাধা-কৃষ্ণ থেকে হনুমান অবধি মিনিয়েচার আকারে মন্দির গাত্রে খোদিত।

পিম্পলকুঠির শেষ মাথায় পেনুগঙ্গা নদী। পাথুরে পাড়ের নদী। জলের বেশ প্রবাহ আছে, নদী নদী ভাবও আছে। নদীতটেই কয়েকটা ইটভাটা। তবে ইটের ভাটার অত্যাবশকীয় উপাদান চিমনি নেই। আগেও খেয়াল করেছি এখানের ইটভাটাগুলোতে মিনারের মতো উঁচু চিমনিগুলো অনুপস্থিত।

আরও পড়ুন>> সম্রাট আকবর-বাবর-শাজাহানের ডেরায় 

পেনুগঙ্গা নদীই মহারাষ্ট্র আর তেলেঙ্গানা রাজ্যের সীমানা। সেতু ছাড়িয়ে ঢুকে পড়লাম ভারতের দক্ষিণাংশে। দুটো ইউনিয়ন টেরিটরি বাদে এনএইচ-৪৪ আমাকে যে এগারোটা রাজ্যের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাবে, তার মধ্যে অষ্টম রাজ্য এই তেলেঙ্গানা। রাজ্যের প্রথম জনপদের নাম ডোলারা। মনে শঙ্কা, এখান থেকেই আমার ভাষার ভিখারি হওয়া শুরু! এদিকের লোক হিন্দি বোঝে না খুব একটা। ধাবায় কেউ ইংরেজি বুঝবে, সেটা আশা করা উচিত হবে না। রাস্তার ধারের সাইনবোর্ড থেকে হিন্দি ভাষা বিদায় নিলো। তবে তেলেগুর সঙ্গে ইংরেজিটা আছে বলে রক্ষা! রাস্তার লোকের পোশাকেও পরিবর্তনের হাওয়া। নিম্নাঙ্গে সাদা ধুতি খুব চোখে পড়ছে।

পেরোলাম মান্ডাগাড়া। মহাসড়কের ধারেই ছোট সব মন্দিরের দেখা মিলছে। মন্দির প্রাঙ্গণে বড় কোনো দেব-দেবীর মূর্তি নেই; বদলে আছে এদিকের স্থাপত্য রীতি অনুসারে দেব-দেবীর ছোট মূর্তি। এক জায়গায় বড়ো করে COCO লেখা দেখে থামলাম। ঠাহর করার চেষ্টা করছি, নারকেল কিংবা চকলেটের পানীয় জাতীয় কিছু আশপাশে পাওয়া যাবে কি না। অবশ্য সাইনবোর্ড দেখে কোকোর মানে উদ্ধার করা গেলো। এই COCO দিয়ে Company owned and company operated বোঝায়! বোঝো কাণ্ড!

একটু এগিয়ে মহাসড়ক ছাড়লাম। বামে বাঁক নিয়ে পুসাই গ্রাম। উদ্দেশ্য পুসাই এল্লেমা মন্দির দেখা। সঙ্গে তেলেঙ্গানার গ্রামের অভ্যন্তরভাগও দেখা হয়ে যাবে। আরসিসি ঢালাই করা রাস্তা এগিয়েছে গ্রামের পানে। বড় পানির টাংকি, সার দেওয়া ঘরের সামনে জাবর কাটারত গরুদের পেরিয়ে গ্রামের শেষ মাথার মন্দিরে। এখানে জনবসতি নেই। তির তির করে বয়ে চলা ছোট একটা খালের পাড়ে বটের তলায় ছিমছাম মন্দির। একটু দূরে গ্রামের শশ্মান। এই ভরদুপুরে কাকপক্ষীটিও নেই এখানে। বড্ড নির্জন জায়গাটা।

ফের মহাসড়কে। তেলেঙ্গানায় প্রবেশের পর একটু বাদে বাদে মহাসড়কের পাশে যাত্রী ছাউনি। প্রতীক্ষমাণ যাত্রীও আছে। আমি ঘোরলাগা চোখে এতদিন গুগল ম্যাপ আর গুগল আর্থে দেখা জায়গাগুলো বাস্তবে দেখছি, এই সুখানুভূতিতে আচ্ছন্ন। এনএইচ-৪৪ মহাসড়ক নিয়ে গেলো এ অঞ্চলের অন্যতম বড় শহর আদিলাবাদে। বিশাল এই শহরের কলেবর। অসংখ্য উঁচু দালান ঊর্ধ্বমুখী। শহরের শেষ প্রান্তে পলিথিনের ঘরে আশ্রয় নিয়েছে গৃহহীনেরা। দেবতা তাদের মাথা গোঁজার আশ্রয় দিতে না পারলেও তারা কিন্তু ওই পলিথিন-বাঁশের জনপদে ঠিকই দেবতাকে অধিষ্ঠিত কিংবা আশ্রয় দিয়েছে। উলটো দিক থেকে এলে পলিথিনের গৃহবাসীদের চোখেই পড়তো না অবশ্য। এদের আড়াল করতে একসারি দামি দালান সব সময় থাকেই।

চড়াই-উতরাইয়ের জন্য বিশাল এলাকাজুড়ে কোনো ধাবা না থাকলেও সীতাগোন্ডির কাছ থেকে আবার ধাবা দৃশ্যমান। কাওয়াল টাইগার রিজার্ভের গেট ছাড়াতেই মোটরবাইক আরোহী এক ছেলে প্রশ্ন করলো, ‘কন্যাকুমারী জানে কে বাদ এওয়ার্ড মিলেগা কেয়া? তুমহারা সরকার পয়সা দেগা?’ আমি প্রত্যুত্তরে জানালাম, ‘কুছ নেহি মিলতা হে। সব লস। টাইম লস, এনার্জি লস, প্যায়সা লস!’ জাওহার নগর ছাড়িয়ে গুডিহাটনুরে মহাসড়কে প্রথম দুর্ঘটনা দেখলাম। একটা মিনি ট্রাক ব্রিজের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ার উপক্রম। বিশাল একটা চড়াইয়ের ঠিক চূড়ায় গান্না কি জুস বিক্রি হচ্ছে। বেশ কদিন বাদে এই জিনিস চাখার সুযোগ ছাড়লাম না। দোকানি ছোকরার ব্যবসায়িক বুদ্ধি বেশ ভালো। একদম ঠিক জায়গা বেছে নিয়েছে পসরা বসানোর।

খানিক এগোতেই আবার দুর্ঘটনা। মোটরসাইকেল আর সিএনজির সংঘর্ষ এবার। এতদিনে একবারও সরাসরি দুর্ঘটনা দেখিনি। তেলেঙ্গানা ঢুকতে না ঢুকতেই দুইখানা! চোখ-কান খোলা রেখে চলতে হবে মহাসড়কে। হতে পারে ড্রাইভারের দক্ষিণী সিনেমার হিরো ভাবে নিজেদের! ইসলামনগর ছাড়াতে রাস্তার ধারে অসংখ্য বানর। লখমপুর থেকে আবার বৃষ্টি। সকাল থেকে পিছু লেগেই রয়েছে। নেরাডিগোন্ডার ধাবায় যখন ঢুকছি, ততক্ষণে সূর্য আকাশপথে তার দৈনিক পরিভ্রমণ শেষে দিনের চাবি সন্ধ্যার আঁধারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

চলবে…

এএসএ/জিকেএস