দেশজুড়ে

রাজশাহীর বাজারে উঠেছে লিচু, দাম চড়া

মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনো সপ্তাহখানেক বাকি। তবে এরই মধ্যে রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো লিচু। তবে দাম অনেক চড়া।

Advertisement

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে ৫১২ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৩ হাজার ৫০৯ মেট্রিক টন।

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে লিচু বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের প্রথম ফল হিসেবে শখ করে বেশি দামেই কিনছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) সাহেববাজারে লিচু কিনতে এসেছেন মো. পিন্টু। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজশাহীর ছোট বনগ্রাম এলাকার লিচু এগুলো। এগুলো প্রতিবছরই প্রথমে ওঠে। এবারও উঠেছে। এখন স্বাদও মিষ্টি আছে। এবার বেশ ভালো লিচু বিক্রি হচ্ছে। প্রথম দিনে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা।’

Advertisement

লিচু বিক্রেতা ফরিদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সারা বছর আমি অন্য ব্যবসা করি। এসময় আম-লিচুর ব্যবসা করি। মূলত আমার ক্রেতারা ঢাকার। তবে আজই প্রথম লিচু এনেছি। তিন হাজার লিচু সকালে এনেছি। বাজারে প্রথম ওঠায় চাহিদা আছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার লিচু বিক্রি হয়েছে।’

বাজারে লিচু কিনতে এসেছেন মোখলেসুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে দেখছি বাজারে লিচু উঠেছে। দাম একটু বেশি। তবে টক হওয়ার ভয়ে কিনিনি। গতকাল কিছু লিচু কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। তবে প্রথম দিক হিসেবে স্বাদ তেমন একটা খারাপ নয়। তাই আজও কিনতে এসেছি।’

নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেখে তো মনে হচ্ছে এখনো পুষ্ট হয়নি। তারপরও যেহেতু নতুন ফল বাজারে এসেছে, বাসার সবাই মিলে খাবো। এজন্য কিনলাম।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, রাজশাহীর বাজারে এখনো লিচু উঠছে বলে আমার ধারণা নেই। তবে শহরের ভেতর থেকে যদি লিচু আসে এগুলো মোজাফরপুরি। এগুলো আগাম হয়। এগুলো হালকা রঙিন হলেই মানুষ বিক্রি করে দেয়। এটার টেস্ট তেমন ভালো না, বিজও বড়। তবে আর মাত্র সাতদিন পরেই ভালো লিচু উঠবে।

Advertisement

রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, লিচু এখনো পরিপক্ক হয়নি। পরিপক্ক হতে আরও ৮-১০ দিন সময় লাগবে। লাল বর্ণ ধারণ করায় অনেকেই নিয়ে চলে আসছেন।

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/জেআইএম