দেশের ঐতিহ্যবাহী সব খাবার ও হাজার বছরের বর্ণিল সংস্কৃতি উপস্থাপনে রাজধানীর বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মুজিবস বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল। এ ফেস্টিভ্যালে ৪৩টি স্টলে ৩৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৫ টায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শনিবার (৬ মে) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলবে এ ফেস্টিভ্যাল।
ফেস্টিভ্যালে খুলনার বিখ্যাত চুইঝালের মাংস, চট্টগ্রামের মেজবান, ঢাকার বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানি, বিউটির লাচ্ছি, বাকরখানি, নান্নার বিরিয়ানি, বিসমিল্লাহর চাপ, মোস্তাকিমের চাপ, বোবার বিরিয়ানি, বরিশালের গুটিয়ার সন্দেশ, বগুড়ার দই, কুমিল্লার মাতৃভান্ডারের রসমালাই, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাগেরহাটের চিংড়ি ও সুন্দরবনের মধু, যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা, মৌলভীবাজার মনিপুরী খাবার, কক্সবাজারের সী ফুড, খাগড়াছড়ির বিখ্যাত ব্যাম্বো চিকেন, বান্দরবানের মারমা ফুড, উত্তরবঙ্গের প্যালকা, পিরোজপুরের সন্ধ্যা নদীর ইলিশ, সিলেটের পানসী রেস্টুরেন্টের আখনী বিরিয়ানি, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা, শেরপুরের তুলসিমালা চালের পায়েশ, হরেক রকমের জুস, ফুসকা ও আগুনপান স্থান পেয়েছে।
আরও পড়ুন>> বিউটি লাচ্ছি থেকে শেরাটন হোটেলের মুখরোচক খাবার, সব মিলবে এক উৎসবে
Advertisement
এছাড়া বাংলাদেশের বিখ্যাত চেইন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও, শেরাটন ঢাকা, হোটেল ওয়েস্টিন ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তাদের বিখ্যাত বাংলাদেশি খাবারের আয়োজন করেছে।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবারের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিন আজ সন্ধ্যার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিখ্যাত গম্ভীরা ও কুষ্টিয়ার লালন শিল্পীদের নিয়ে বাউল গানের আসর বসবে।
দ্বিতীয় দিন জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতির উপস্থাপনা রয়েছে। তৃতীয় দিনে চট্টগ্রামের বিখ্যাত কাওয়ালি গানের আয়োজন রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন পুঁথিপাঠের আসর বসানো হবে। খাদ্য সংস্কৃতির পাশাপাশি আমাদের এসব ঐতিহ্যবাহী গান, পুঁথিপাঠকে প্রচারের জন্য টেস্ট অব বাংলাদেশ আয়োজন করা হয়েছে।
এমএমএ/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement