আন্তর্জাতিক

সুদানে সংঘাত চলছেই

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ এবং সেনাবাহিনীর সদরদপ্তরের আশপাশের এলাকা থেকে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) সরানোর চেষ্টা করছে দেশটির সেনাবাহিনী। গত ১৫ এপ্রিল দেশটিতে সংঘাত শুরু হয়। এদিকে গত ২ মে দুপক্ষ সাতদিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেও সংঘাত বন্ধ হয়নি। 

Advertisement

বৃহস্পতিবার খার্তুমের বিভিন্ন স্থানে তীব্র বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এদিকে মঙ্গলবার সুদানের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৪ হাজার ৯২৬ জন।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতিতে দুপক্ষের সম্মতি মিললেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। আরএসএফকে দুর্বল করতে খার্তুমে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিমের দারফুর অঞ্চলেও। সংঘাত থেকে বাঁচতে অন্তত এক লাখ লোক সুদান ছেড়ে পালিয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে রোজ ভিড় করছেন অসংখ্য শরণার্থী। দেশটির ভেতর বাস্তুচ্যুত হয়েছে আরও তিন লক্ষাধিক বাসিন্দা। দ্রুত এ সংঘাতের সমাপ্তি না হলে ‘সর্বাত্মক বিপর্যয়’ নেমে আসবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

Advertisement

সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়েই দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াইয়ের সূত্রপাত। দেশটির বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে রয়েছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো। বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী এ দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা।

আরও পড়ুন: ইরান-সিরিয়ার কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি

কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য নিজেদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর তা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। যে কোনো সম্ভাব্য আলোচনার আগে দুই পক্ষ রাজধানী দখলের জন্য লড়াই করছে। এছাড়া আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি দাগালো আলোচনায় বসতেও খুব একটা ইচ্ছুক নন বলেই মনে হচ্ছে।

এদিকে আল-বুরহানের বিশেষ দূত দাফাল্লাহ আলহাজ আল জাজিরাকে বলেন, যে চুক্তি হয়েছে তা শুধু যুদ্ধবিরতির জন্য, সংঘাতের সমাধানের বিষয়ে কোনো মধ্যস্থতা করা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিনিধিদল সরাসরি আলোচনায় জড়াবে না এমনকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো চেষ্টাও করবে না।

Advertisement

টিটিএন