বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইন্দো-আর্জেন্টিনিও সিনেমা ‘ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার’র ‘থিংকিং অব হিম’ নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে।
Advertisement
আর্জেন্টিনার খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা পাবলো সিজার পরিচালিত এবং পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সূরজ কুমার এ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন। কবিগুরুর আর্জেন্টিনা সফরের পরে, সেই দেশের লেখিকা ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সঙ্গে একটি প্লেটোনিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে কেন্দ্র করে নির্মিত।
আরও পড়ুন: মেট গালা অনুষ্ঠানে পরীর সাজে আলিয়া
চলচ্চিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সম্পর্কের সুন্দর সফরের বর্ণনা দেয়, যা সাহিত্যের প্রতি তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিভাজন দূর করে একটি সেতু নির্মাণ করার জন্য তাদের যৌথ ইচ্ছাকে প্রকাশ করে। সিনেমাটি এ সম্পর্কের সারমর্মকে সুন্দরভাবে মেলে ধরে, এবং বিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বের জীবন ও কাজের একটি আভাস দেয়।
Advertisement
‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের ফরাসি অনুবাদ পড়ার পর, ওকাম্পো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক পরম অনুরাগীতে পরিণত হন। শোনা যায়, ১৯২৪ সালে বুয়েনস আইরেস সফরের সময় কবি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওকাম্পো তার সেবা করেন। ‘থিংকিং অব হিম’ সিনেমায় রবি ঠাকুরের ভূমিকায় দেখা যাবে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর চরিত্রে আর্জেন্টাইন অভিনেত্রী এলিওনোরা ওয়েক্সলার রয়েছেন। এছাড়া সিনেমায় রাইমা সেন ও হেক্টর বোর্দোনি রয়েছেন। পেরুর স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপনে যোগ দিতে চলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আরও পড়ুন: কত টাকায় নিলাম হবে প্রিয়াঙ্কার গলার হীরার হার?
১৯২৪ সালের ৬ নভেম্বর চিকিৎসা ও বিশ্রামের জন্য বুয়েনস আইরেসে থামতে হয়। সেই সময়ে এ সবের দায়িত্ব নেন ভিক্টোরিয়া। সুস্থ হয়ে ৩ জানুয়ারি ১৯২৫ সালে বুয়েনস আইরেস ত্যাগ করেন কবিগুরু। ৬৩ বছরের কবির কাছ থেকে সাহিত্যিক অনুপ্রেরণা পান ৩৪ বছরের ভিক্টোরিয়া।
Advertisement
উল্লেখ্য, এ বছর সিনেমার স্ক্রিনিংয়ের পর সূরজ কুমার বিখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক মুর্তজা আলি খানের সঙ্গে আলাপচারিতা পর্ব সারবেন। সেই সঙ্গে কবিগুরুর ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি একটি আকর্ষক এবং অনুসন্ধিৎসু কথোপকথন হবে বলে আশা করা যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিংশ শতকের বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়। পাশাপশি তার কাজগুলো আজও সারাবিশ্বের পাঠকদের অনুপ্রাণিত ও অনুরণিত করছে। এ চলচ্চিত্রটি তার স্থায়ী উত্তরাধিকারের একটি প্রমাণ এবং তার জীবন ও কাজের উদযাপন বলা চলে।
এমএমএফ/জিকেএস