যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে ১০টি এয়ারবাস কিনবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পরিচালনা পর্ষদের বোর্ডে অনুমোদন পেয়েছে। বুধবার (৩ মে) বিমানের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে পর্ষদের বৈঠকে কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, বোর্ড মিটিংয়ে বিমানের বহর আরও শক্তিশালী করতে নতুন ১০টি এয়ারক্রাফট কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে এগুলো কেনা হবে।
২০২৬ সালে দুটি এয়ারবাস বহরে যুক্ত হবে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে যুক্ত হবে। এখন বিমানের পরিচালনা পর্ষদ ক্রয় পদ্ধতি, দাম, অর্থের উৎসসহ নানা টেকনিক্যাল বিষয় যুক্ত করে একটি প্রফাইল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠাবে। বিমানবহরে নতুন এয়ারক্রাফটগুলো যুক্ত হলে বন্ধ রুটসহ নতুন নতুন রুট চালু হবে।
Advertisement
বর্তমানে বিমান বহরে মোট উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। ১০টি নতুন প্লেন যুক্ত হলে সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টি। বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, ১৯৭২ সালের ৭ মার্চ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং ৯ মার্চ যশোরে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে আকাশে উড়ে বিমান।
এভাবেই শুরু হয়েছিল বিমানের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের তিনদিন আগে অর্থাৎ ৪ মার্চ ১৭৯ জন যাত্রীকে লন্ডন থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার মাধ্যমে বিমানের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী এবং মালামাল পরিবহনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সেবাও দিয়ে থাকে বিমান। বিশ্বের প্রায় ৪২টি দেশের সঙ্গে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৬টি দেশে এখন কার্যক্রম বিদ্যমান।
দেশের জাতীয় পতাকাবাহী এই সংস্থাটি প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
Advertisement
এমএমএ/এমআরএম/জিকেএস