পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬০ বছরের এক বৃদ্ধা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর পরিবারের। নির্যাতনের শিকার ওই বৃদ্ধা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Advertisement
২৪ এপ্রিল রাতে জেলার গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল গলাচিপা থানায় ওই নারীর ছেলে বাদী হয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ৩ মে মামলাটি নথিভুক্ত করে বলে জানান ওসি।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সৎ ছেলে রহমত উল্লাহ বলেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী তার বাবার প্রথম স্ত্রী। তার বাবা মারা যাওয়ার পর ওই নারী একজন পালিত ছেলে নিয়ে নিজ বসতঘরে বসবাস করে আসছিলেন। ২৪ এপ্রিল রাতে তিনি (ভুক্তভোগী) বাড়িতে একা থাকায় রাত আনুমানিক ১টার দিকে পাশের বাড়ির শহিদুল হাওলাদার (৩৫) তার ঘরের জানালা ভেঙে প্রবেশ করে ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের ঘরের লোকজন এগিয়ে আসেন। পরে শহিদুল হাওলাদার ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
ধর্ষণের ফলে ভুক্তভোগীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় বলে জানান তিনি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ২৫ এপ্রিল গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে অভিযুক্ত শহিদুল হাওলাদার পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ৩ মে মামলা রুজু হয়েছে, মামলা নং-৪। আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
অভিযোগের সাত দিন পর মামলা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করতে সময় লেগেছে।’
এদিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার ওই নারীর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নীরিক্ষা এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
Advertisement
আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এএসএম