দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এর মধ্যেই চিনির দাম প্রতি কেজিতে রেকর্ড বেড়ে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। আর খোলা মিললেও ক্রেতাকে কেজিপ্রতি গুনতে হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে ছিল।
Advertisement
বুধবার (৩ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে প্যাকেটজাত চিনি নেই। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঈদের পর থেকে কোনো চিনির সরবরাহ নেই। কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা অন্য পণ্যের অর্ডার নিলেও চিনির সরবরাহ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছে।
আমদানিকারকদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির রেকর্ড দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে অভ্যন্তরীণ বাজারে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি দাম দিয়ে চিনি আমদানি করবেন কি না, সেই বিষয়ে সরকারের মত চেয়েছেন তারা। তারাও বাড়তি দামের কারণে আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে দেখা গেছে, এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ। আর এক বছরে বেড়েছে ৬২ শতাংশের বেশি।
Advertisement
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো ডিলার চিনি বিক্রি করছেন। কিন্তু তারা দাম বেশি নিলেও দিচ্ছেন না ক্রয় রসিদ।
কারওয়ান বাজারের মুন্না জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী সালাম হোসেন বলেন, প্যাকেটজাত চিনি অনেক দিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। খোলা চিনি পাইকারি পর্যায়ে কেনা ১৩০ টাকার বেশি। এরপরও ক্রয় রসিদ দিচ্ছেন না ডিলাররা।
নোয়াখালী স্টোরের বিক্রয়কর্মী মনির বলেন, কয়েক মাস ধরেই বাজারে চিনির সংকট। ঈদের পর সংকট যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে দামও। আমরা বিক্রি বন্ধ রেখেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চিনি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মফিজুল হক বলেন, কোম্পানিগুলো জানিয়েছে চিনির উৎপাদন নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে এখন প্রতি টন অপরিশোধিত দাম দাঁড়িয়েছে ৬৭০ ডলারে, যা আগে থেকে প্রায় ১০০ ডলার বেশি। তাই আমদানি কমেছে।
Advertisement
এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস