রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামি শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ পাবেন। বুধবার (৩ মার্চ) আসামিদের রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশের পর গনমাধ্যমকে এমন তথ্য জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।
Advertisement
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন দুই আসামি। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন নামঞ্জুর হলে ২৭ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৮ আপিল বিভাগের আট সদস্যের বেঞ্চ স্বাক্ষরিত ২১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এই রায়ের ফলে শিক্ষক মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীরের ফাঁসি কার্যকরে আইনী বাধা নেই বলেও জানান আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন> ড. তাহের হত্যা/মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
Advertisement
রায় প্রকাশের পর রায়ের কপিটি সুপ্রিম কোর্টের শাখা থেকে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে (রাজশাহী জেলা জজ কোর্টে) পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. তাহেরের কন্যা সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সেগুফতা আহমেদ তাবাসসুম।
রায়ের কপি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত (রাজশাহী জেলা জজ কোর্টে)। এর পরে দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় পদোন্নতি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম
Advertisement