সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোনামুখী ইউনিয়নের ইছামতী নদী থেকে গত দুই মাস ধরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে নদীপাড়ের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
Advertisement
এ অবৈধ কর্মযজ্ঞ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সেলিমের নেতৃত্বে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই বলেও জানান তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পাইকপাড়া ও পাঁচগাছি গ্রামের ইছামতী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বিভিন্ন অংশে ওই বালুর ভিটি তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের বাড়ির আঙ্গিনার গভীর জায়গা ভরাট করতে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
ড্রেজারের শ্রমিক সোহেল রানা ও তোতা মিয়া জানান, তারা আওয়ামী লীগ নেতা উজ্জ্বল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সেলিমের অধীনে দিন হাজিরায় বালু তোলার কাজ করছেন।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাইকপাড়া গ্রামের এক কৃষক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে আমাদের ফসলি জমি। বিষয়টি মৌখিকভাবে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং এ বিষয়ে কোনো প্রকার বাড়াবাড়ি করলে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়েছেন উজ্জ্বলের লোকজন। সব সময়ই ড্রেজার দেখাশোনার জন্য ৭-৮ জন লোক পাহারায় থাকেন।
আরেক কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, দুমাস ধরে এ নদীর বালু বাংলা ড্রেজার দিয়ে অবাধে বিক্রি করছে। আমরা কিছু বললে তারা বলে সরকারের কাছ থেকে নাকি নদীর সব বালু কিনে নিয়েছে তারা।
অভিযুক্ত কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে কোনো ক্ষতি হবে না।
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
এম এ মালেক/এসজে/জেআইএম