পদ্মা সেতুর চালু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় আয় কমেছে নদীবন্দরের কুলিদের (ঘাটশ্রমিক)। ফলে অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অটোরিকশা ও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
Advertisement
বরিশাল নদীবন্দরে ঘাটশ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এতথ্য জানা গেছে।
বরিশাল নদীবন্দরে প্রায় এক যুগ ধরে কাজ করছেন নিবন্ধিত ঘাটশ্রমিক ইসমাইল হোসেন। এক বছরের ব্যবধানে তাদের আয় অর্ধেকে নেমেছে। এর কারণ পদ্মা সেতু চালু। যাত্রীরা এখন অল্প সময়ে ঢাকা-বরিশাল যাতায়াতের জন্য সড়কপথকে বেছে নিচ্ছেন।
ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগে এমন দিন গেছে যে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম হয়েছে। আর এখন ৫০০ টাকাই ইনকাম করা কষ্টকর। এ অবস্থায় অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে পুষাতে না পেরে অন্য কাজ করছেন।’
Advertisement
আরেক ঘাটশ্রমিক হাফিজুল বলেন, ‘যাদের পরিবার আছে তারা আর এ পেশার সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। কারণ আগের মতো এখন আর ইনকাম নেই। কিন্তু খরচ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে হাজার টাকা ইনকাম হলেও এখন ৩০০-৪০০ টাকা আয় করতে দিন শেষ হয়ে যায়। তাই অনেকেই অটোরিকশা চালাচ্ছেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল নদীবন্দরে ৫০ জনের বেশি নিবন্ধিত ঘাটশ্রমিক ছিলেন। কিন্তু যাত্রী সংকটের কারণে ইনকাম কমে যাওয়ায় এখন ২০-২৫ জনের মতো শ্রমিক কাজ করছেন।
ঘাটশ্রমিক বেল্লাল বলেন, ‘ঈদের আগ পর্যন্ত অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। তবে ঈদের দুদিন আগে থেকে যাত্রী আসায় কিছুটা ইনকাম বেড়েছে। এখনো অনেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাই ঘাটে কিছু ইনকাম হচ্ছে।’
বেল্লাল বলেন, ‘এই যাত্রী চাপ হয়তো আর দু চারদিন থাকবে। তারপর আবারও মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। অবস্থা এমন যে মাঝে মধ্যে চা-রুটি খেয়ে ঘাটেই শুয়ে থাকি।’
Advertisement
এসআর/এএসএম