গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রোববার (৩০ এপ্রিল) ছিল মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু করা হয় এ বাছাই প্রক্রিয়া। প্রথমে বাছাই করা হয় মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র।
Advertisement
বাছাইয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হোসেন ও অলিউর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
বৈধ ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের আজমত উল্লাহ খান, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. রাজু আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম ও হারুন অর রশীদের মনোনয়নপত্র।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লাহ খান তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুরের সব জনগণ দলমত নির্বিশেষে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত করার প্রত্যাশী। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এ কামনা করে আসছে। তাদের কাছে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থনে আগামী ২৫ তারিখে নির্বাচনে মূল্যবান ভোট কামনা করছি। যাতে আমরা সবাই মিলে এই শহরটাকে একটি পরিচ্ছন্ন ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি কাউকে প্রতিপক্ষ মনে করি না, প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি। আমি মনে করি যে যেই দৃষ্টিকোণ থেকে ইলেকশনে দাঁড়িয়েছে সবারই পদ্ধতিগত কিছু ব্যাপার থাকতে পারে। আমরা সবাইকে নিয়ে একটি স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। কেউ আমাদের শত্রু নয়। বিএনপি কিন্তু সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট করেনি। কারণ সিটি করপোরেশন শুধু মেয়র দ্বারা পরিচালিত নয়।
আজমত উল্লাহ বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী এখানে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন। লড়াই বিএনপি-আওয়ামী লীগে হচ্ছে এটা আমি মনে করি না। আমি মনে করি, সাধারণ জনগণ লড়াইটা করছে। মানুষ লড়াইটা করছে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টা এটি আমাদের কোনো বিষয় নয়। এটি নির্বাচন কমিশনের যে আইন ও বিধি রয়েছে সেই বিধির আলোকেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আইন অনুযায়ী যদি সে ফিরে আসে তাহলে তাকে মোস্ট ওয়েলকাম।
এসময় তার সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
আগামী ৮ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন। পরদিন প্রতীক বরাদ্দ এবং ২৫ মে ৫৭ সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মো. আমিনুল ইসলাম/এমআরআর/জিকেএস