সারাদেশে ৩৩ এবং হাওরে ৯০ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
Advertisement
রোববার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে বোরো ধান নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ধানের আমাদের মূল মৌসুম হলো বোরো। আমরা প্রতিবছর ৪৮-৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করে থাকি। এবার আমাদের বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৯ লাখ ৭৬ হাজার হেক্টর, অর্জন হয়েছে ৫০ লাখ হেক্টর। এ বছর যা টার্গেট করেছিলাম এর থেকে বেশি বোরো আবাদ হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ হাওরের ৯২ শতাংশ ধান কাটা শেষ
Advertisement
কৃষিমন্ত্রী বলেন, হাওরের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এবং উঁচু জায়গাও রয়েছে। হাওরে সবমিলিয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। হাওরে আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩৮ লাখ টন।
তিনি বলেন, হাওরে ধান কাটা চরম ঝুঁকিপূর্ণ। আগে প্রত্যেক বছরই দেখতাম কিছু না কিছু হাওর এলাকা ডুবে যেত, ধান নষ্ট হতো, কৃষকরা তাদের ধান ঘরে তুলতে পারতেন না।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর এই মুহূর্ত পর্যন্ত খবর হলো হাওরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ৯০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে, কারণ কৃষকদের আমরা তাড়াতাড়ি ধান কাটতে উৎসাহিত করেছি। সুনামগঞ্জে এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টার ধান কেটেছে। ৬৬৮টি রিপার ধান কেটেছে। এবার তেমন বন্যাও আসেনি। এটা আমাদের একটা বড় অর্জন।
হাওরে বন্যা আসার আগেই যেন ধান কাটা যায় তেমন জাত নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন বলেও জানান আব্দুর রাজ্জাক।
Advertisement
আরও পড়ুন: অসহায় কৃষকের ধান কেটে দিলেন প্রতিমন্ত্রী-এমপি
এবার বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি ১৫ লাখ টন জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি দুই কোটি ২০ থেকে ২৫ লাখ টন অর্জন হবে। এরই মধ্যে সারাদেশের ৩৩ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। একটা ভালো অগ্রগতি হয়েছে। আশা করা যায় যে, খাদ্য নিয়ে আর সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলেই রয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না জানতে চাইলে ড. রাজ্জাক বলেন, শিলাবৃষ্টিতে স্থানীয়ভাবে কিছুটা ক্ষতি হয়। হয়তো দু-একটা গ্রামে ক্ষতি হয়। শিলাতে ব্যাপক যে ক্ষতি হওয়া, সেটি হয়নি। আমরা ধরে নিয়ে নিয়েছি প্রতিবছর যে ক্ষতি হয় এবারও তাই হবে। বাংলাদেশের যে প্রকৃতি তাতে এটা হতেই পারে। এবার ধানের দামও মোটামুটি ভালো। চাষিরা ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করছেন, দাম নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।
আরএমএম/বিএ/এমকেআর/এমএস