দেশজুড়ে

কাউন্সিলর পদে নির্বাচনী মাঠে বিএনপি নেতারা

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে মেয়র পদে বিএনপির কোনো প্রার্থী এবার নেই। তবে পদধারী বেশ কিছু নেতা কাউন্সিলর পদে থাকছেন নির্বাচনী মাঠে। এসব নেতার মধ্যে অনেকেই ২০১৮ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছিলেন।

Advertisement

এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুরুজ আহমেদ জানান, বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে দল।

গাজীপুরে কারাবন্দি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারের ছেলে সরকার শাহনুর ইসলাম রনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সুরুজ আহমেদ বলেন, সরকার শাহনুর ইসলাম রনি বিএনপির কেউ না। তার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া তিনি বিএনপির কোনো পদে নেই। এমনকি প্রাথমিক সদস্যও নন। তাই তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করলে এতে বিএনপির কোনো দায় নেই।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির ২২ জন নেতাকর্মী ও সমর্থক তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে ৮ জনই ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।

Advertisement

বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১১নং ওয়ার্ডে (জয়ারটেক-নছর মার্কেট) কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর হোসেন আলম, ১৫নং ওয়ার্ডে (ভোগড়া) কাউন্সিলর শ্রমিক দল নেতা ফয়সাল আহমাদ সরকার, ১৬নং ওয়ার্ডের (দিঘিরচালা-বারবৈকা) বর্তমান কাউন্সিলর বাসন থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী মুসা, বাসন থানার ১৭নং ওয়ার্ডে (চান্দনা-যোগীতলা) ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম (রাতা), ১৯নং ওয়ার্ডের (কাউলতিয়া-সালনা) বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা মো. তানভীর আহম্মেদ, সদর মেট্রো থানার ২২নং ওয়ার্ডে (বাংলাবাজার-বাহাদুরপুর) বিএনপি নেতা ছবদের হাসান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে (পোড়াবাড়ি-ভাওরাইদ) বিএনপি সমর্থক খোরশেদ আলম রিপন, ২৪নং ওয়ার্ডে (শিমুলতলী-চতর) বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রশিদ খান শিপু, ২৫নং ওয়ার্ডে (ভুরুলিয়া) বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি সমর্থক মজিবুর রহমান, ২৬নং ওয়ার্ডের (বিলাসপুর-মারিয়ালী) বর্তমান কাউন্সিলর ও সদর মেট্রো থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া হান্নু, ২৮নং ওয়ার্ডের (জয়দেবপুর শহর) বর্তমান কাউন্সিলর সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হাসান আজমল ভুঁইয়া, ২৯নং ওয়ার্ডের (ছোট দেওড়া) বিএনপি নেতা খায়রুল আলম ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিএস মনির হোসেন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে (কানাইয়া-নীলেরপাড়া) বিএনপি সমর্থক শামসুল আলম অরুণ কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া গাছা থানা এলাকায় ৩৪নং ওয়ার্ডে (শরীফপুর) বিএনপি সমর্থক সাবেক কাউন্সিলর মো. মাহফুজুর রহমান ও ৩৫নং ওয়ার্ডে (বাদে কলমেশ্বর) গাছা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ ফারুক হোসেন, পূবাইল থানা এলাকার ৪০নং ওয়ার্ডের (মেঘডুবি) পুবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম বিকি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে (তালটিয়া) বিএনপির নেতা সুলতান উদ্দিন আহমেদ, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের (টঙ্গীর দত্তপাড়া) বর্তমান কাউন্সিলর টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউদ্দিন আহমেদ, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের (মিলগেইট) কাউন্সিলর শ্রমিক দল নেতা আবুল হোসেন প্রার্থী হয়েছেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সদর মেট্রো থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া হান্নু বলেন, কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ব্যাপারে দলীয় কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কাউন্সিলররা দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাছাড়া দুই মেয়াদে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছি। তারপরও দল যদি কোনো নির্দেশনা দেয় তাহলে প্রার্থী হওয়া না হওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবো।

এফএ/জিকেএস

Advertisement