ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে এলাকায় তীব্র গরমের কারণে লাইন বেঁকে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টা পর সেই লাইন আবারও বেঁকে গেছে। বাঁকা লাইন সোজা করতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
Advertisement
দেখা গেছে, বাঁকা লাইনে কচুরিপানা দিয়ে শীতল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পাশের নালা থেকে বালতি ও মগ দিয়ে পানি ঢালা হচ্ছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে তীব্র গরমে একই স্থানের লাইন বাঁকা হয়ে মালবাহী ট্রেনের সাত বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে একটি লাইনে আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। দীর্ঘ ২৭ ঘণ্টা চেষ্টার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলো উদ্ধার করে মেরামতের পর ঢাকাগামী লাইনটি সচল হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরমে ফের বেঁকে গেছে রেললাইন
Advertisement
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম জাগোনিউজকে জানান, লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধারের পর শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকাগামী লাইনটি মেরামত করা হয়। পরে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় এ লাইন দিয়ে উপকূল এক্সপ্রেস ঢাকায় গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়েছি, গরমের কারণে সেই লাইনটি আবার বাঁকা হয়ে গেছে। আপাতত বাঁকা লাইন দিয়ে ঢাকাগামী ট্রেব চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে এক লাইনেই আপ-ডাউন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইনচ্যুত হওয়া মালবাহী ট্রেনের ৭ বগি উদ্ধার
আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। লাইন সোজা করতে কাজ শুরু হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড গরমে লাইন বাঁকা হয়ে যায়। লাইনটি ঠান্ডা করতে কচুরিপানা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
দুর্ঘটনার দিন মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা যায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দুই দিন পর শনিবার তা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে যেখানে রেল লাইন অবস্থিত, সেখানে তাপমাত্রা অনুভূত হয় আরও বেশি।
ঈদের আগে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ছুঁই ছুঁই বা তার চেয়ে বেশি।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এএইচ/এএসএম