সৌদি আরব ও ইরানের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। দেশ দুটি জানিয়েছে, তারা একে অপরের রাজধানীতে কিছুদিনের মধ্যেই পুনরায় দূতাবাস খুলবে। সাত বছর আগে দুই দেশ একে অপরের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। এদিকে পুনরায় দূতাবাস চালু করার বিষয়ে কথা বলে দুদেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলাপকালে নতুন করে দূতাবাস খোলার বিষয়ে কথা বলেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তবে তিনি পুনরায় দূতাবাস চালুর নির্ধারিত সময় উল্লেখ করেননি। ২০১৬ সালে দুদেশের মধ্যকার দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকে ফল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৯ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সাত বছর ধরে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে গত মাসের শুরুতে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের মধ্যকার এক বৈঠকের পর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দূতাবাস পুনরায় চালু করার বিষয়ে এক চুক্তিতে পৌঁছায় ইরান ও সৌদি। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান জানান, ঈদুল ফিতরে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার ফোনে আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে তেহরান ও রিয়াদে আমরা সৌদি আরব এবং ইরানের দূতাবাস পুনরায় চালু করার বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ভারতে দেড় কোটির সোনা পাচার, ‘মজুরি’ ২৫০০ টাকা
ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের হস্তক্ষেপের পর ২০১৫ সালে ইরানসমর্থিত হুথিদের কাছে রিয়াদ-সমর্থিত সরকারের পতনের ঘটে। সে সময় থেকেই রাজধানী সানার নিয়ন্ত্রণ নেয় হুথিরা। মূলত তখন থেকেই দুদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। দেশগুলোর মধ্যকার উত্তেজনা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ আরও বড় ধরনের সংঘাতের দিকে নিয়ে গেছে।
লেবানন সফরের সময় এসব বিষয়ে কথা বলেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহসহ লেবাননের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন যে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‘অদূর ভবিষ্যতে’ সিরিয়া সফর করবেন। তবে এবিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
টিটিএন
Advertisement