গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরা স্বাভাবিক। ঘামের সঙ্গে শরীরের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘাম হলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়।
Advertisement
তবে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া কিন্তু মোটেও স্বাভাবিক নয়। এটি শারীরিক বিভিন্ন রোগের লক্ষণও হতে পারে। আবার অনেকের মুখ ও শরীরের তুলনায় হাতের তালু ও পায়ের পাতায় ঘাম বেশি হয়। একে হাইপার হাইড্রোসিস বলে।
আরও পড়ুন: গরমে ‘ফুড পয়েজনিং’ বাড়ে কেন? সুস্থ থাকতে করণীয়
স্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম সবারই হয়ে থাকে। ঘাম শরীরের অত্যাবশ্যকীয় একটি প্রক্রিয়া। বরং ঘাম না হওয়াও কখনো বড় ধরনের অসুস্থতার লক্ষণ।
Advertisement
তাই অতিরিক্ত ঘামও যেমন শারীরিক কিছু রোগের লক্ষণ আবার না ঘামলেও শরীরে থাকতে পারে নানা অসুখ। আর গরম ছাড়াই যদি আপনি ঘামেন তাহলেও তা কিন্তু বড়সড় রোগের লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ কী?
১. কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে কিংবা রোদে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে
২. পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন: গরমে যেসব রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে করণীয়
৩. মসলা, ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলেও বেশি ঘাম হতে পারে।
৪. আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- ব্রোকোলি, পেঁয়াজ, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে।
৫. শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়।
৬. পাউডার ব্যবহার থেকেও ঘাম দূর করার পরিবর্তে তা আরও বাড়িয়ে দেয়।
৭. অতিরিক্ত ধূমপানও ঘামের কারণ হতে পাতে।
আরও পড়ুন: গরমে ঘামাচি ও চুলকানির সমস্যা এড়াতে যা করা জরুরি
অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার সমস্যা সমাধানে করণীয়
>> ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাইকার্বোনেট বেরিয়ে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই পানির সঙ্গে লবণ ও লেবু মিশিয়ে শরবত খেলে ভালো হয়।
>> গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন।
>> কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে টাটকা ফলের রস খান।
>> পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্যাটি লিভারের যে ৩ লক্ষণ ফুটে ওঠে হাতে
>> ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে যেহেতু হাইপার হাইড্রোসিস হয়, তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান।
>> একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন, থাইরয়েড হয়েছে কি না।
সূত্র: মায়োক্লিনিক
জেএমএস/এমএস