রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে স্বজনদের ঘুরিয়ে এনেছেন মিরপুরের বাসিন্দা আরিফ হাসান। ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহ থেকে আসা আত্মীয়দের নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণ করেন তিনি। ছবি তুলে, ভিডিও করে মেট্রোরেলে প্রথমবার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সংরক্ষণ করছেন মোবাইল ফোনে।
Advertisement
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পল্লবী স্টেশনে কথা হয় আরিফ হাসানের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি জানান, ঈদের ছুটি কম হওয়ায় এবার বাড়ি যাওয়া হয়নি। গত বুধবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে। গ্রাম থেকে খালা, খালাতো ভাই ও বোনেরা এসেছেন। তাদের নিয়ে মেট্রোরেলে ঘুরলাম।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের টিকিট ও কার্ড সংগ্রহ করবেন যেভাবে
ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে গত চারদিন আগে। তবুও মেট্রোরেলে রয়ে গেছে ঈদের আমেজ। উপচেপড়া ভিড় না থাকলেও কেবল ভ্রমণের জন্য আসা যাত্রীর কমতি নেই। শুধুমাত্র শহরের মানুষই নয়, ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে অনেকেই আসছেন বিনোদনকেন্দ্রগুলো ঘুরতে। তাদের অনেকে আবার ঘুরছেন মেট্রোরেলে।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ ছিল কম। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ট্রেন চললেও পল্লবী স্টেশন থেকে ১০-২০ জন যাত্রী উঠেছেন। অধিকাংশ যাত্রীর এবারই প্রথম মেট্রোরেল ভ্রমণ। স্টেশনে থাকা আনসার সদস্যরা বা স্কাউটের স্বেচ্ছাসেবীর কীভাবে টিকিট কাটতে হয় দেখিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে কোন গন্তব্যে কত ভাড়া
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রামে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানী ফিরেছেন অনেকে। এদের মধ্যে অনেকে আবার মেট্রোরেল ভ্রমণ করেননি। আবার গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা। আর এই সুযোগে আত্মীয়দের নিয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছেন তারা।
ব্যবসায়ী সাজেদুল দুই মেয়েকে নিয়ে উত্তরা ঘুরে পল্লবী স্টেশনে এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা মিরপুর থাকি। বেশ কয়েকবারই মেট্রোতে চড়া হয়েছে। কিন্তু মেয়েদের নিয়ে আসা হয়নি। ঈদের শুরুতে ভিড় ও সময় মতো আসতে না পারায় এখন এসেছি। মেট্রোতে ভ্রমণ করে মেয়েরা অনেক খুশি।
Advertisement
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রার ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা
রংপুর থেকে ঢাকায় বেড়াতে আসা আত্মীয়সহ পরিবার নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণে এসেছেন তানভীর ইসলাম। তিনি বলেন, সোমবার আমরা ঢাকায় এসেছি। আমাদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন এসেছেন। আগামীকাল চলে যাবেন তারা। তাই আজ তাদের নিয়ে মেট্রোরেল ভ্রমণে এসেছি। বাসার লোকেরা কখনও মেট্রোরেলে চড়েনি। আজকে যেহেতু ছুটির দিন, এই সুযোগে সবাইকে নিয়ে আসলাম।
তিনি বলেন, এটা খুবই সুন্দর যাতায়াত ব্যবস্থা। বাচ্চারাও আনন্দ পাচ্ছে ভ্রমণ করে। দ্রুত এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যায়।
এসএম/জেডএইচ/এমএস