সুদানে চলছে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি। তারপরও দেশটির বেশ কিছু জায়গায় দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। গত ১৫ এপ্রিল সুদানের আর্মড ফোর্সেস (এসএএফ) এবং র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নামের আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক নিহত হয়েছে।
Advertisement
রাজধানী খার্তুমের কাছাকাছি শহর থেকে বিবিসির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, টেলিভিশন ও রিডিও ভবনের কাছে লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নেই কোনো জ্বালানি, রয়েছে ডাক্তারের সংকট। তাছাড়া খাদ্য ও অর্থের চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে শুক্রবার। তাই সুদানের সেনাপ্রধান যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন>যুদ্ধ শুরুর পর প্রথম শি-জেলেনস্কির ফোনালাপ
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমানে সংঘাতে বেশি বিপদে পড়েছে খার্তুম ও ওমদুরমানের বাসিন্দারা। কারণ তারা বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য পাচ্ছে না। নগদ অর্থের সংকট তো রয়েছেই।
এ ঘটনার ফলে এরই মধ্যে অসংখ্য বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লড়াই বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব।
অন্যদিকে জাতিসংঘ সুদান ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। সংস্থাটি সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘ সুদান ত্যাগ করবে না। একটি শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য সুদানের জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার। এই ভয়াবহ সময়ে আমরা তাদের পাশে আছি।
Advertisement
এমএসএম