২৫ এপ্রিল দেশে ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
২৫ এপ্রিলের হিসাব অনুসারে, চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। বিগত বছরে লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। এই মৌসুমে মোট লবণ চাষ হওয়া জমির পরিমাণ ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। গত বছরের তুলনায় এবার লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। এবার লবণ চাষির সংখ্যা ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, যা গত বছর ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় লবণ চাষির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লবণ আমদানি না করে দেশে তা উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি লবণ মৌসুমে একমাস আগেই চাষিদের মাঠে নামানো হয়। গত লবণ মৌসুমে প্রথম লবণ উৎপাদন শুরু হওয়ায় চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি (১ বছর), মধ্যমেয়াদি (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদি (৫ বছরের উর্ধ্বে) পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: কাঁচা লবণ খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়
Advertisement
চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ২০ লাখ মেট্রিক টনের বেশি লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
জাতীয় লবণনীতি, ২০২২ অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লবণ শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে। ১৯৬১ সাল থেকে বিসিকের মাধ্যমেই দেশে পরিকল্পিতভাবে লবণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়।
বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিকের লবণ শিল্পের উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যালয়ের অধীন ১২টি লবণ কেন্দ্রের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার সব উপজেলায় এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে লবণ চাষের জন্য লবণ চাষীদের প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান এবং প্রযুক্তি সম্প্রসারণসহ সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement