গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী খালিদ মাহমুদ মিঠু আজ সোমবার দুপুরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। প্রয়াত এই নির্মাতা নির্মাণ করেছিলেন দুটি চলচ্চিত্র। ‘গহীনে শব্দ’ এবং ‘জোনাকির আলো’। দুটি ছবিতেই নায়ক হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রির মোস্ট টেলেন্টেড হিরো ইমনকে। তাই সদ্য প্রয়াত নির্মাতার সঙ্গে ইমনের সম্পর্ক এবং কাজের অভিজ্ঞতাটা ছিলো বেশ জমজমাট। স্বাভাবিকভাবে মিঠুর প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান হয়ে আছেন ইমন। তিনি এই প্রস্থানকে এখনো মেনে নিতে পারছেন না মন থেকে।সোমবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আজ দিনভর মানিকগঞ্জে শুটিংয়ে ছিলাম। দুপুরের পর যখন খবরটা পাই তখন আমার মাথায় যেন আকাশ থেকে পড়ে! কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম তার এই মৃত্যুর খবর। একবারে ‘থ’ হয়ে ছিলাম কিছুক্ষণ। কত স্মৃতি, কত কথা পড়ে আছে এখানে ওখানে। কত কিছুই করার ছিলো। আমি জাস্ট ভাবতেও পারছিও না মিঠু ভাইয়ের এই চলে যাওয়ার কথা!’ইমন বলেন, ‘মিঠু ভাইয়ের সাথে গত সপ্তাহে শেষবারের মত কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন ইমন তোমাকে নিয়ে এবার নতুন একটি কর্মাশিয়াল ছবি বানাবো। শুনে খুব ভালো লেগেছিল। আগের দুই ছবির মত এবারের বাণিজ্যিক ছবিটিও সাফল্য পাবে, আলোচিত হবে এমনটাই আশা করেছিলেন মিঠু ভাই। এ সপ্তাহেই দেখা হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এ কী হয়ে গেল! দিব্যি ভালো মানুষটা এখন আর আমাদের মাঝে নেই।’নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে গলা ধরে আসে ইমনের। চাপা স্বরে তিনি বলেন, ‘মিঠু ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় অনেক বছরের। প্রায় সাত বছর ধরে মানুষটার সঙ্গে আমার উঠা বসা। ২০০৯ সালে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘গহীনে শব্দ’ ছবিতে তার সঙ্গে আমি কাজ করেছিলাম। এরপর তার ‘জোনাকির আলো’ ছবিতেও আমি কাজ করেছি। ছবি দুটি দারুণ প্রশংসা পায়। এ আমার পরম সৌভাগ্য যে তিনি তার দুটি ছবিতেই আমাকে নায়ক করেছিলেন। আমি প্রাউড ফিল করতাম যে মিঠু ভাইয়ের মত গুণী মানুষ আমাকে বিশ্বাস করেন, আমার অভিনয়ের উপর আস্থা রাখেন। তিনি আমার চোখে শুধু একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাই নন, আমার অভিভাবকও। তিনি আমার পরিবারের একজন হয়েই ছিলেন, থাকবেনও চিরকাল। মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ মিঠু ভাইকে বেহেশত নসীব করুন।’ এনই/এলএ
Advertisement