মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে ২২৯ মিটার দৈর্ঘ্যের এবং সাড়ে ১২ মিটার গভীরতার বিশাল জাহাজ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ‘এমভি অউসো মারো’ জাহাজটি ইন্দোনেশিয়া থেকে মাতারবাড়ী টার্মিনালে আসে। এটি বহন করে নিয়ে এসেছে ৬৭ হাজার টন কয়লা।
Advertisement
দেশের ইতিহাসে বন্দরে ভেড়া সবচেয়ে বড় জাহাজ এটি। এর মাধ্যমে মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দরের স্বপ্নযাত্রা শুরু করলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক হাব হবে মাতারবাড়ি, বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি
এর আগে সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার তারাহান বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এরপর মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪২ মিনিটে মাতারবাড়ী টার্মিনালের কোল জেটিতে বার্থিং করে জাহাজটি।
Advertisement
জাহাজটি বহির্নোঙর থেকে আনার সময় পাইলটেজ টিমে ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর ফজলর রহমান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, ক্যাপ্টেন জহির, মেইন পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুল এবং কো-পাইলট ক্যাপ্টেন শামস।
জাহাজটি বার্থিংয়ে চারটি টাগ সহযোগিতা করে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী হবে গেম চেঞ্জার : রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, জাহাজটির দৈর্ঘ্য ২২৯ মিটার এবং ড্রাফটস ১২ দশমিক ৫ মিটার। এত বড় আকারের জাহাজ এর আগে কখনো চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েনি। চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এছাড়া প্রথমবারের মতো মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসে জাহাজটি।
Advertisement
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার প্রস্থের কৃত্রিম চ্যানেল দিয়ে জাহাজটি কোল জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরের পরিচালনা কার্যক্রম চালু হবে
মাতারবাড়ীতে সমুদ্র বন্দরের প্রকল্পের আওতায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি মাল্টিপারপাস জেটি এবং ৪৬০ মিটার দীর্ঘ একটি কনটেইনার জেটি নির্মাণ হবে।
এমডিআইএইচ/জেডএইচ/জেআইএম