শিক্ষা

এসএসসি পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫০ হাজারের বেশি

এবারের এসএসসি ও সমামানের পরীক্ষায় ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এবছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৫ জন ছাত্রী। এবার মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের তুলনায় ২৩ সালে মোট পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এবছর প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২০৭টি, কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি।

Advertisement

আরও পড়ুন>> সব কোচিং সেন্টার এক মাস বন্ধ: শিক্ষামন্ত্রী

নারী পরীক্ষার্থী বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের তো নারী শিক্ষার্থী বাড়ার বিষয়ে জানাতে গবেষণা করতে হবে, সেটি তো আমাদের নেই। আমি যদি সাধারণ ধারণা থেকে বলতে চাই, মেয়েরা এখন অনেক বেশি পড়ছে। পড়ার সুযোগ অনেক বেশি, সচেতনতা তৈরি হয়েছে, মেয়েদের সংখ্যা এখন অনেক বেশি বাড়ছে। কাজেই প্রতি বছরই হয়তো মেয়েদের সংখ্যার বাড়ার বিষয়টি দেখতে পাবো। একটা আশঙ্কা ছিল কোভিডের সময়ে নারী শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে। কারণ বাল্যবিয়েটা ক্লাস এইট, নাইন, টেনের সময়ে হয়। গত দুই-তিন বছর যখন পরীক্ষা নিয়ে কথা বলি, আপনাদের কিন্তু পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছি। প্রত্যেক বছরের পরিসংখ্যান তার সঙ্গে তুলনা করলেও কোভিড সময়েও নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেনি।

তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ্যে বলা সম্ভব নয় বাল্যবিয়ে বেড়েছে কী বাড়েনি। কিন্তু আমাদের নারী পরিক্ষার্থী কিন্তু কমেনি। অর্থাৎ যদি তার বাল্যবিয়ে হয়েও থাকে সে হয়তো পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। প্রতিবার নারী পরীক্ষার্থী বাড়ছে, এবছরও সেটি বেড়েছে। হয়তো বাল্যবিয়ে এখন কমেছে, মেয়েদের কর্মক্ষেত্র অনেক বেড়েছে। নানা ধরনের নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন। তার প্রতিফলন নিশ্চয়ই নারীদের ক্ষেত্রেও ঘটছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

আইএইচআর/ইএ/এমএস