দেশজুড়ে

বাগেরহাটে ভিজিএফের ৭২০ কেজি চাল জব্দ

বাগেরহাটের খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের খাদ্য গুদাম থেকে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফের ৭২০ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ এ চাল জব্দ করেন।

Advertisement

পরে সোমবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহর উপস্থিতিতে দরিদ্রদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, ঈদে হতদরিদ্রদের জন্য খানপুর ইউনিয়নে ৯৪৮ জনের জন্য ১০ কেজি করে ৯ হাজার ৪৮০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭২ জন চাল না নেওয়ায় গুদামে ৭২০ কেজি চাল অবশিষ্ট রয়ে যায়। রোজার সময়ে চাল নিতে ইউনিয়ন পরিষদে আসলেও তাদের চাল দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগীরা।

খানপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিরুন্ননেছা বেগম বলেন, ঈদের আগে আসছিলাম কিন্তু আমাকে কোনো চাল দেয়নি। গতকাল রাতে চাল নিতে আসার জন্য সংবাদ দিয়েছিল। তাই আজকে এসে চাল নিলাম। চালগুলো ঈদের আগে দিলে আরও ভালো হত।

Advertisement

আরও পড়ুন: বরগুনায় ভিজিএফের ৫ টন চাল জব্দ

খানপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফকির মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদে দেওয়া চাল আত্মসাতের জন্য মজুদ করেছিল চেয়ারম্যান ফহম উদ্দিন। এর ফলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আমরা তদন্তপূর্বক চেয়ারম্যানের বিচার চাই।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির ফহম উদ্দিন বলেন, যারা চাল পাবে তাদের সবাইকে ঈদের আগেই চাল নেওয়ার জন্য খবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও রোজা থাকায় কিছু মানুষ চাল নিতে আসেনি। তাদের চাল গুদামে ছিল। প্রশাসনের নির্দেশে সে চাল আজকে বিতরণ করা হয়।

চাল বিতরণের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. জাহিদুর রহমান বলেন, সব চাল বিতরণ করতে পারেনি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে সঠিক সময়ে অবহিত করেনি।

Advertisement

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুল্লাহ বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম এবং চাল জব্দ করেছিলাম।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আজিজুর রহমান বলেন, ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের চেষ্টা করছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থল থেকে চাল জব্দ করেন। পরে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭২ জনের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। কেন সঠিক সময়ে চাল বিতরণ করেননি সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

আরএইচ/এমএস