জাতীয়

এ বিদায় আনন্দের

দুই মেয়াদে টানা ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে বঙ্গভবন ছেড়েছেন আবদুল হামিদ। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনের নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিকুঞ্জের প্রেসিডেন্ট লজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাশিদা খানম।

Advertisement

এর আগে বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রথা অনুযায়ী শপথ অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতিকে চেয়ারে বসিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন রাষ্ট্রপতিকে পরিচয় করিয়ে দেন আবদুল হামিদ।

আরও পড়ুন>> সক্রিয় রাজনীতি করবেন না আবদুল হামিদ

এরপর ক্রেডেনশিয়াল গ্রাউন্ডে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে বঙ্গভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে ও বিউগলের করুণ সুর বাজিয়ে আবদুল হামিদকে বিদায় দেওয়া হয়। এরপর তার গাড়ি বহরের যাত্রা শুরু হয়। এসময় তাকে এসকর্ট দেয় পুলিশের অশ্বারোহী দল।

Advertisement

বিদায় মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আবদুল হামিদ। তার এ বিদায় এবং সাধারণ নাগরিকদের কাতারে চলে যেতে পারাকে আনন্দের উল্লেখ করে বলেন, আপনারা শুনেছেন, অনেক সময় বলেছি, আমি বন্দি জীবনে আছি। এর থেকে আমি মুক্তি পাচ্ছি। এখন সাধারণ নাগরিক হিসেবে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।

আরও পড়ুন>> ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সাহাবুদ্দিন

বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতির বিদায়ের দিনে এমন সংবর্ধনার আয়োজন হয়েছে। এর আগে কোনো রাষ্ট্রপতিকে নিজেদের আয়োজনে বিদায় জানানোর সুযোগ হয়নি বঙ্গভবনের। যে কারণে এ বিদায়টি উৎসবে পরিণত হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছে, বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে আবদুল হামিদ রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসা ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ উঠবেন। সেখানে পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী ও ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।

এসইউজে/ইএ/জেআইএম