ধর্ম

এখন যে দোয়া বেশি পড়বেন রোজাদার

হে আল্লাহ! রোজাদারদের সে অনুগ্রহ দান করেন। যে অনুগ্রহ রমজান জুড়ে দান করেছেন। সব রোজাদারের অন্তরকে অন্যায় পথ থেকে হেফাজত করেন। আপনার রহমতের চাদরে ঢেকে রাখেন। হেদায়েতের পথে পরিচালিত করেন। আপনিই তো সবচেয়ে বড় দানকারী।

Advertisement

মুমিন মুসলমান রমজান মাসজুড়ে মহান আল্লাহ তাআলার রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাতের আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত ছিলেন। রমজানের পর বাকি ১১ মাসও যেন আল্লাহ তাআলার রহমত ও তার হেদায়েত পেয়ে ধন্য হন, সে জন্য কোরআনুল কারিমে উঠে এসেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। যে দোয়ায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে রমজানের রোজা পালনকারীরা। কী আছে এ দোয়ায়?

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

উচ্চারণ : রাব্বানা লা তুযেগ কুলুবানা বা’দা ইজ হাদাইতানা; ওয়া হাবলানা মিল্লা দুংকা রাহমাহ; ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্‌হাব।' (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ৮)

Advertisement

অর্থ : 'হে আমাদের পালনকর্তা! (হেদায়েতের) সরল পথ দেখানোর পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লঙ্ঘনের দিকে পরিচালিত করো না। আর তোমার কাছ থেকে আমাদের অনুগ্রহ দান কর। নিশ্চয় তুমিই সব কিছুর দাতা।'

রমজান মাসজুড়ে রোজা পালনের মাধ্যমে রোজাদার পেয়েছেন হেদায়েত। আর তাকওয়ার বরকত পেয়ে হয়েছেন মুত্তাকি। রমজানে মুমিন মুসলমানকে ঈমানদার সম্বোধন করে কোরআনুল কারিমের ঘোষণাটিও ছিল এমন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

'হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের লোকদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার।' (সুরা বাকারা: আয়াত ১৮৩)

তাই মুমিন মুসলমান আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক মাসব্যাপী রমজানের রোজা পালন, আমল ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে সচেষ্ট থেকে তাকওয়ার গুণে ধন্য হয়েছেন।

Advertisement

রমজান পরবর্তী সময়েও ঈমানদার বান্দা যেন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সিক্ত হতে পারে সে জন্য সব সময় সুরা আল-ইমরানের এ আয়াত দ্বারা তার কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা ও সাহায্য চাওয়া জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। রমজানের পরও কোরআনে হেদায়েত ও মুত্তাকির গুণে রঙিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস