ভ্রমণ

ছাদ-দেওয়াল ছাড়া ‘অদ্ভূত হোটেল’, ভাড়া ২০ হাজার টাকা

দেশ হোক কিংবা বিদেশ, কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার কোন হোটেল বা রিসোর্টে গিয়ে উঠবেন এ খোঁজে থাকেন সবাই। কারণ যারা লাক্সারি ট্রিপে যান, তারা খুব দামি হোটেলে থাকেন।

Advertisement

সেক্ষেত্রে ঘোরাঘুরি নয় বরং নামিদামি হোটেলে রাত্রিযাপন করাই থাকে মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে যারা ঘোরাঘুরি করতে যান, তারা মোটামুটি একটি হোটেলে রাত কাটাতে পারলেই ধন্য হন।

আরও পড়ুন: সস্তায় প্লেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে

তবে বেশিরভাগ মানুষ অন্য শহরে গিয়ে ভালো হোটেল বুক করে সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর রাতে শান্তিতে ঘুমানোর আশা করেন। তবে কখনো কি আপনি এমন কোনো হোটেলে উঠবেন যেখানকার ঘরে নেই ছাদ ও প্রাচীর?

Advertisement

খোলা স্থানের মধ্যে শুধু একটি খাট বিছানো। কল্পনা বা সিনেমায় হয়তো এমন দৃশ্য দেখেছেন অনেকেই! তবে বাস্তবে হলে কী করবেন?

শুনতে অবাক লাগলেও ছাদ ও প্রাচীরবিহীন হোটেল ইদানীং মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আর এমন হোটেলে থাকার জন্য কয়েক মাস আগ থেকেই বুকিং দিয়ে রাখতে হয়।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসুন ‘বাংলার দার্জিলিংয়ে’

খোলা আকাশের নিচে এখানে বিছানা তৈরি করা হয়েছে। তবে কোনো বাথরুম নেই সেখানে। তাই শৌচাগারের কাজ মেটানোর জন্য প্রায় ৪ থেকে ৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয় একটি স্থানে। তবে এই অদ্ভুত হোটেলে রুম পরিষেবাসহ অনেক সুবিধা আছে।

Advertisement

কোথায় এই হোটেলের অবস্থান? ছাদ ও দেওয়ালবিহীন হোটেলটি বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দেশ অর্থাৎ সুইজারল্যান্ডে গেলে দেখতে পাবেন। এই আশ্চর্যজনক হোটেলের নাম হলো নল স্টার্ন।

সুইজারল্যান্ডের গোবসি নামের একটি পর্বতশৃঙ্গে এই হোটেল তৈরি করা হয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত এই হোটেলের মেঝে টাইলস দিয়ে তৈরি ও একটি বিছানা সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঈদে ছুটিতে সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে আসুন সাগরকন্যা কুয়াকাটায়

পর্যটকরা যাতে খোলা আকাশের নিচে শান্তিতে ঘুমাতে পারেন, সেই জন্য এই অদ্ভুত হোটেলটি কয়েক দিন আগে খুলে দেওয়া হয়েছে।

এই হোটেলের ভাড়া শুনলে কিছুক্ষণ অবাক হয়েও থাকতে পারে। নানা সূত্রে জানা গেছে, এই হোটেলে এক রাত থাকার জন্য প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা গুনতে হয়।

জানা গেছে, এই হোটেল তৈরি করেছেন দুই সুইস শিল্পী ফ্রাঙ্ক ও রিকলিন। দিন দিন পর্যটকদের মধ্যে এই হোটেলে থাকার চাহিদা বাড়ছে।

সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া

জেএমএস/জেআইএম