দেশজুড়ে

১০ বছরেও শেষ হয়নি বিচার

দেশের পোশাকশিল্পের ইতিহাসে বড় ট্র্যাজেডি রানা প্লাজা ধস। ভয়াবহ এ ঘটনার পর একে একে কেটে গেছে ১০টি বছর। কিন্তু এখনো হয়নি এর বিচার। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। এ ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি আহত হয়েছিলেন। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: আজও আঁতকে ওঠেন রানা প্লাজার সেই রেশমা

ভয়াবহ দিনটিকে স্মরণ করতে স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনগুলো নিয়েছে নানা পদক্ষেপ। রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী ‘শহীদ বেদি’তে মোমবাতি জালিয়ে নিহতদের স্মরণ করেন পরিবারের সদস্য, আহত শ্রমিক এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে চার দফা দাবিতে মানববন্ধনও করেছে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। এছাড়া ২৪ এপ্রিল নিহতদের স্মরণ করতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

এদিকে দুর্ঘটনার ১০ বছর পূর্ণ হলেও এখনো ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক নেতারা। তারা এই দুর্ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে দ্রুত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়া দিবসটিকে পোশাকশিল্পের শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানান।

Advertisement

আহত শ্রমিক শরিফা, আয়নাল, নিলুফা বেগম বলেন, ১০ বছর হয়ে গেলো, এখনো মেলেনি ক্ষতিপূরণ। এমনকি দোষীদের শাস্তি হয়নি।

আরও পড়ুন: রানা প্লাজার হতাহতদের কান্না

তিনি বলেন, শ্রমিকের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, রানা প্লাজার জমি বাজেয়াপ্ত করে হতাহত শ্রমিকদের স্থায়ী পুনর্বাসন, বিনামূল্যে আজীবন চিকিৎসা ও রানা প্লাজার মালিকের দ্রুত বিচারে চার দফা দাবি জানাচ্ছি। যদি তা বাস্তবায়ন না হয় তবে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, ১০ বছর হলেও এখনো রানা প্লাজার শ্রমিকরা ঘুরছেন। তাদের নেই কোনো স্বাস্থ্যসেবা। তখন নানা আশ্বাস দিলেও এখন কেউই তা বাস্তবায়ন করছেন না। আহত শ্রমিকরা দুঃখ-কষ্টে জীবন পাড় করছেন। যদি ১ মে’র আগে দাবি বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয়, তবে কঠোর আন্দোলনে যাবো।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফিরে দেখা রানা প্লাজা ট্রাজেডি

এদিকে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের সভাপতি সারোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, বিল্পবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারীসহ আরও অনেকে।

মাহফুজুর রহমান নিপু/জেডএইচ/