আন্তর্জাতিক

বিক্রি হবে নির্জন দ্বীপ, দাম দুই কোটি টাকা

শহরের ভিড় থেকে পালিয়ে নির্জন কোনো দ্বীপে গিয়ে থাকতে কখনো কি ইচ্ছা হয়েছে? যদি হয়, তাহলে আপনার জন্য সুখবর। মাত্র (!) দুই কোটি টাকায় বিক্রি হবে লোকালয় থেকে দূরে, অগভীর সাগরের মধ্যে ছোট্ট একটি দ্বীপ। সেখানে এখনো কোনো ঘরবাড়ি-অবকাঠামো তৈরি হয়নি। অর্থাৎ, সম্পূর্ণ নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন আস্ত একটা ভূখণ্ডকে।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুসারে, দ্বীপটির অবস্থান স্কটল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে। নাম বারলোকো। এর বিক্রয়মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে দেড় লাখ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রায়।

আরও পড়ুন>> ১৫৮ কোটি টাকায় বিক্রি হলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি লাইসেন্স প্লেট

সাগরের মধ্যে সবুজ ঘাস ও পাথরে ঢাকা দ্বীপটির আয়তন প্রায় ২৫ একর। কিন্তু সেখানে কোনো ভবন নেই। কেবল একটি পুকুর রয়েছে, যা শীতের মাসগুলোতে গবাদি পশু এবং বন্যপ্রাণীদের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করে।

Advertisement

দ্বীপ বিক্রির বিষয়টি পরিচালনাকারী এজেন্ট গ্যালব্রেথ গ্রুপের অ্যারন এডগার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিজের একটি স্কটিশ দ্বীপ থাকার সঙ্গে খুব রোমান্টিক অনুভূতি জড়িত, যেখানে আপনি দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে বাঁচতে এবং চারপাশের সুন্দর দৃশ্যে কিছুটা প্রশান্তি উপভোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনের আকাশে রহস্যময় তীব্র আলোর ঝলকানি

তবে ক্রেতাকে অবশ্যই জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ বারলোকো দ্বীপ থেকে সবচেয়ে কাছের শহরও প্রায় ছয় মাইল দূরে এবং নিকটতম রেলস্টেশন ওই শহরটি থেকেও এক ঘণ্টার বাসযাত্রার দূরত্বে অবস্থিত। লন্ডন ও এডিনবার্গ শহর থেকে বারলোকো দ্বীপের দূরত্ব যথাক্রমে ৩৫০ ও ১০০ মাইল।

আরও পড়ুন>> মায়ের নামে নালিশ করতে ১৩০ কিমি সাইকেল চালিয়ে দাদির কাছে গেলো বালক

Advertisement

দ্বীপটিতে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আজ পর্যন্ত কেউ অনুমতি চায়নি। তাই অবকাঠামো উন্নয়ন সম্ভাবনা তদারকির দায়িত্ব ক্রেতার নিজের ওপরই বর্তাবে।

এডগার জানিয়েছেন, ভাটার সময় পায়ে হেঁটে, ট্রাক্টর বা কোয়াডবাইকে করে দ্বীপটিতে পৌঁছানো যায়। বাকি সময় নৌকায় যেতে হবে। দ্বীপটি ঘোরাঘুরি, ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটা ও সমুদ্রঘেঁষে পিকনিক করার জন্য একেবারে আদর্শ জায়গা।

এডগার বলেছেন, আমরা স্কটল্যান্ডে বেশ কয়েকটি দ্বীপ বিক্রি পরিচালনা করেছি। সেগুলোর জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে শক্তিশালী চাহিদা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। বারলোকো দ্বীপটির ক্ষেত্রেও তেমনটি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কেএএ/