আইন-আদালত

মীর কাসেম আলীর চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়ের জন্য আপিল আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় এক নম্বরে রয়েছে।তার আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য এই দিন ঠিক করেন। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। আদালতে যুক্তিতর্ক পেশ করেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে সমাপনী বক্তব্য পেশ করেন মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।আদালতে আসামী মীর কাসেম আলীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ছড়াও ওই দিন উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন, ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম, ব্যারিস্টার জাকের আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টুটুল এবং প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদনের ওপর রাষ্ট্র ও আসামি উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ৮ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে পাল্টা যুক্তি খণ্ডন করেছে আসামিপক্ষ। তার আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়।২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর খালাস চেয়ে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন। ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এফএইচ/এসএইচএস/আরআইপি

Advertisement