তীব্র দাবদাহে অস্তির মানুষ। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। বাইরে কাঠ ফাটা রোদের সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়ছে। এসময় শরীর ঠান্ডা রাখতে ফ্যান, এসি চালিয়ে রাখছেন ঘরে। তবে শখের বাইকের জন্য কিছু ভাবছেন কি?
Advertisement
রোদ-গরমে আমাদের শরীরের যেমন বাড়তি যত্নের প্রয়োজন, তেমনি বাইকেরও বাড়তি কিছু যত্নের প্রয়োজন। অত্যধিক গরমে বাইক চালানো কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। অসতর্ক হলেই মুহূর্তে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। যখন তখন মাঝ রাস্তায় বাইক বিগড়ে গিয়ে আপনাকে ফেলতে পারে ঝামেলায়। তাই এ সময় বাইকের উপর বাড়তি নজর দেওয়া উচিত।
জেনে নিন তীব্র গরমে বাইকের সমস্যা এড়াতে যা করবেন-
আরও পড়ুন: বাইকে জং ধরলে পরিষ্কার করবেন যেভাবে
Advertisement
এয়ার ফিল্টার এবং স্পার্ক প্লাগবাইকে ইনস্টল করা এয়ার ফিল্টারটি পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। তবে অনেকে প্রায়শই এটিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। যার কারণে এর প্রভাব ইঞ্জিনের উপর পড়ে। তাই মনে রাখবেন সময়ে সময়ে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বাইকের স্পার্ক প্লাগ প্রতি ১৫০০-২০০০ কিলোমিটারে পাল্টে ফেলুন। এছাড়াও আপনি একটি স্পার্ক প্লাগ রেঞ্চের সাহায্যে এটি নিজেই খুলতে পারেন। এটি স্যান্ডপেপার দিয়ে পরিষ্কারও করতে পারেন।
বাইকের টায়ারের দিকে নজর দিনযে কোনো গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো টায়ার। গরমে টায়ারের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কারণ গরমে বাইকের টায়ার কিছুটা বেড়ে যায়। ফলে আপনার মনে হতে পারে যে, টায়ারে কম প্রেসার পাচ্ছে। ফলে আপনি আবার হাওয়া দেন। কিন্তু এটাই ভুল কাজ করেন। প্রচন্ড গরমে বাইকে কম হাওয়া দেওয়াই ভালো। এছাড়াও স্বাভাবিকের পরিবর্তে বাইকে নাইট্রোজেন হাওয়া নেওয়ার চেষ্টা করুন, এটি যে কোনো পেট্রোল পাম্পে সহজেই পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নাইট্রোজেন গাড়ির চাকা ঠান্ডা রাখে।
ব্যাটারি এবং ইঞ্জিন অয়েলবাইকের ব্যাটারিও অনেক সময় পরীক্ষা করা উচিত। ব্যাটারিতে কোনো ফুটো আছে কি না সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়াও যদি আপনার বাইকের রেডিয়েটারে কুল্যান্ট থাকে, তবে তাও পরীক্ষা করুন। যদি সম্ভব হয়, ১৫০০-২০০০ কিলোমিটার চলার পর বাইকের ইঞ্জিন তেল পরীক্ষা করে নিন। যাতে আপনাকে কোনো রকম সমস্যায় পড়তে না হয়।
কেএসকে/জেআইএম
Advertisement