ঈদের ছুটিতে রাজধানীর হাতিরঝিলে ভিড় করেছেন দর্শনার্থীরা। শনিবার (২২ এপ্রিল) দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ঝিলপাড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে এ ভিড় আরও বাড়তে পারে।
Advertisement
দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, রমজানে তীব্র গরমে বাসা থেকে বের হওয়া বা বেড়ানোর সুযোগ কম ছিল। এখন ঈদের ছুটি। আবহাওয়া পরিস্থিতিও ভালো। ঝিলে শীতল বাতাসও আছে। তাই ঢাকার অক্সিজেনখ্যাত হাতিরঝিলে ঘোরাঘুরি সব বয়সী লোকজনের পছন্দের শীর্ষে।
২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি হাতিরঝিল জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। ৩০২ একর আয়তনের এ ঝিলটি ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজারকে সড়ক এবং নৌপথে যুক্ত করেছে।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, হাতিরঝিলে পরিবারের লোকজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন মানুষ। অনেকে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। তাদের বেশিরভাগই পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি ও মেয়েরা সালোয়ার-কামিজ ও শাড়ি পরে এসেছেন। অনেকে আবার দলে দলে সেলফি তুলছেন।
Advertisement
হাতিরঝিলের পুলিশপ্লাজা, মধুবাগ ব্রিজ, রামপুরা অংশে ভিড় বেশি দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য ওভারব্রিজ ও ফুট ওভারব্রিজে প্রচুর লোকজন রয়েছে। হকারদের হাক-ডাকও লক্ষ্য করা গেছে। তারা পানি, আইসক্রিম, বাদাম, হাওয়াই-মিঠাই বিক্রি করছেন।
পান্থপথ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছেণ হুমায়ুন কবির। হাতিরঝিলের বিএফডিসি মোড় থেকে হেঁটে মধুবাগ ব্রিজে যান তারা। সেখানে একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন। হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, বিভিন্ন উৎসবের দিন তারা হাতিরঝিলে বেড়াতে যান। এখানে উন্মুক্ত জায়গায় বেড়াতে ভালোই লাগে।
পুলিশপ্লাজা সংলগ্ন ঝিলপাড়ে দাঁড়িয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে সেলফি তুলছিলেন নাহিদ হাসান। তারা উত্তর বাড্ডা থেকে এখানে বেড়াতে এসেছেন। আলাপকালে নাহিদ বলেন, ঢাকায় বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলই সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। ঈদের ছুটিতে এখানে চলে আসছি। এখানে সন্ধ্যার পর পানিতে আলোর রশ্মির অনিন্দ্য দৃশ্য আনন্দ দেয়।
এমএমএ/এএএইচ/জেআইএম
Advertisement