দুনিয়ার সব ভালো গুণে গুণান্বিত ছিলেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে নবিজির গুণ বর্ণনা করে ঘোষণা করেন-
Advertisement
وَ اِنَّکَ لَعَلٰی خُلُقٍ عَظِیۡمٍ
‘আর নিশ্চয়ই আপনি মহান চরিত্রের উপর রয়েছেন।’ (সুরা কলম: আয়াত ৪)
> তিনি ছিলেন সত্যবাদী। তিনি কখনো মিথ্যা বলেননি। তাইতো আরবের জাহেল মানুষের মুখেও তার ভালো গুণ প্রকাশ পেয়েছিল। তারা তাকে ডাকতো ‘আল-আমিন’।
Advertisement
> তিনি দীর্ঘ সময় নিরব থাকতেন। অযথা কথা বলতেন না।
> তিনি সব সময় কম হাসতেন।
> তিনি মুচকি হাসতেন; কখনো অট্টো হাসি দিতেন না।
> তিনি নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। কখনো এ নামাজ ত্যাগ করেননি।
Advertisement
> তিনি নিজের জন্য কখনো প্রতিশোধ করেননি। তায়েফের কঠিন নির্যাতনেও তিনি ধৈর্যশীল ছিলেন।
> তিনি ইসলামের যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কখনও কাউকে আঘাত করেননি। কারণ তিনি ছিলেন দয়ালু।
> তিনি বিপদে পড়লে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।
> তিনি সবাইকে আগে সালাম দিতেন।
> তিনি শিশুদের স্নেহ করতেন। ভালোবাসতেন।
> তাঁর আচরণ ছিল কোমল। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতেন।
> তিনি নিয়মিত সাপ্তাহিক ও মাসিক রোজা রাখতেন। সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। আবার মাসিক আইয়ামে বিজের (প্রত্যেক আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ) রোজা রাখতেন।
> ঘুম থেকে জেগে ওঠে মেসওয়াক করা ছিল তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। তিনি সর্বাধিক মেসওয়াক করতেন।
> তিনি কখনো মিথ্যা বলতেন না। মিথ্যাকে সর্বাধিক ঘৃণা করতেন।
> তিনি উপহার গ্রহণ করতেন।
> তিনি অধিক দানশীল ছিলেন। তাঁর দানকে (সাদকাহ) ঝড়ের গতির সঙ্গে তুলনা করা হয়।
> তিনি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। আল্লাহর জিকিরে মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়।
> তিনি কখনো কোনো খাদ্যের দোষ ধরতেন না।
> ক্ষমা ছিল নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম গুণ। তিনি অন্যদের ক্ষমা করে দেওয়া অধিক পছন্দ করতেন।
> তিনি কাউকে অবহেলা করতেন না। এমনকি যারা তাঁর কাছে আসতো তাদেরও তিনি অবহেলা করতেন না।
> কথা বলার সময় সুন্দর ও উত্তম কথা বলতেন। তাঁর কথা ছিল প্রাঞ্জল ও সুস্পষ্ট।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজির গুণে নিজেদের গুণান্বিত করা। নিজেদের সোনালী যুগের মানুষের মতো গড়ে তোলা। আল্লাহ তাআলা কবুল করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম