কৃষি ও প্রকৃতি

জেগে উঠেছে শ্বেতপদ্মের দল

এস আলী দূর্জয়

Advertisement

প্রকৃতি থেকে বিদায় নিয়েছে বসন্ত। আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড খরতাপে অতিষ্ঠ জনজীবন। তবে গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে রাজশাহী কলেজের পুকুরের বুক ফের ছেয়ে গেছে পদ্মপাতার সতেজ সবুজে। সেই সবুজের পরতে পরতে জেগে উঠেছে শ্বেতপদ্মের দল।

ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজের প্রশাসনিক ভবনের পেছনে পদ্মপুকুরের পুরোটাজুড়ে আছে সাদা-গোলাপের মিশেলে দৃষ্টিনন্দন পদ্ম। এর কোনোটি ফুটে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে, আবার কোনোটির কলি ফোটার অপেক্ষায়। পুকুরভরা ভাসমান পদ্মফুল ফুটে আছে অপরূপ সাজে। যেন সৌন্দর্য বিলাতে একটুও কার্পণ্য নেই ফুল ও পদ্ম পাতাগুলোর।

আরও পড়ুন: বাগেরহাটে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা

Advertisement

প্রকৃতিপ্রেমীরা সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘুরে দেখছেন পুকুরের চারপাশ। আবার পদ্মফুলের সঙ্গে ছবি তুলে ফ্রেমবন্দি করে রাখছেন। রোজা ও ঈদের ছুটির কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলেও স্থানীয় শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী দর্শনার্থী মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখে রীতিমতো আবেগাপ্লুত। পুকুর ঘাটে বসে পদ্মফুলের সৌন্দর্যে প্রশান্তির ছোঁয়া খুঁজছেন ক্লান্ত দর্শনার্থীরা।

উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মতে, পদ্মের ইংরেজি নাম ‘Lotus’। যা Nymphaeaceae গোত্রের কন্দজাতীয় ভূ-আশ্রয়ী বহু বর্ষজীবী ভাসমান জলজ উদ্ভিদ। গ্রামবাংলার মানুষের কাছে ফুলের জন্য পদ্ম অতি পরিচিত উদ্ভিদ। ভারতের জাতীয় ফুল পদ্মের আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বৈজ্ঞানিক নাম Nelumbo Nucifera। প্রায় সব সময় যে জায়গায় পানি থাকে, এমন জায়গায় পদ্ম ফুল ভালো জন্মে। ফুলগুলো সাধারণত গোলাকৃতি এবং পাতাগুলো পানিতে লেপ্টে থাকে। কখনো কখোনো উঁচুও হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: মেহেরপুরে সজনে ডাটার ফলনে খুশি কৃষকরা

কলেজে ঘুরতে আসা ইব্রাহিম হোসাইন বলেন, ‘নগরীতেই আমার বাসা। ছুটির দিনে মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে আসি একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। পদ্মপুকুরের পদ্মফুল দেখে চোখ আটকে গেলো। মনে হচ্ছে গ্রামের পাশের নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আছি।’

Advertisement

শুধু পদ্মই নয়; অসাধারণ সুন্দর কলেজ প্রাঙ্গণ। পদ্মের এমন অপরূপ সৌন্দর্য তাই মুহূর্তেই ভালো করে দেয় যে কারো মন।

লেখক: শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ।

এসইউ/এমএস