নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। রাস্তার ঠিকাদারের কাজটি করছেন উপজেলার কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম স্বপন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অনিয়মের বিষয়ে বারবার বলার পরও কোনো পদক্ষেপ নেননি উপজেলা প্রকৌশলী।
Advertisement
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের শশীরমোড় থেকে চকগোপাল বাঁধ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫০ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ২১ হাজার ৬৫১ টাকা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে ঢিলেঢালাভাবে রাস্তার কাজ করা হচ্ছিল। বর্তমানে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি হয়েছে। ছুটির সময়ে তড়িঘড়ি করে কাজটি শেষ করা হচ্ছে। গত দুদিন ধরে দ্রুতগতিতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। উপজেলা প্রকৌশল অফিসের কোনোরকম তদারকি ছাড়াই এসব কাজ চলছে।
প্রায় আড়াই কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের এ সড়কটিতে বেশিরভাগই তিন নম্বর ইটের খোয়া দিয়ে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার দুপাশের এজিংয়ে দুই নম্বর এবং পুরোনো ইট দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
স্থানীয় আরচা গ্রামের দোকানি আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাস্তার কাজ মোটেই মানসম্মত হচ্ছে না। আমরা বাঁধা দিয়েছিলাম। তারপরও ঠিকাদার এসে আমাদের এই মোড়ের কিছু অংশে ভালো ইট দিয়েছে। কিন্তু পুরো রাস্তাটা তিন নম্বর ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
অটোরিকশাচালক সোহেল রানা বলেন, ‘রাস্তার যতটুকু কাজ করা হয়েছে তার বেশিরভাগই তিন নম্বর ইট দিয়ে করা। তিন নম্বর ইট দিয়ে কাজ করায় রাস্তা ভালো হবে না।’
এ বিষয়ে ঠিকাদার বদলগাছীর কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম স্বপন বলেন, ‘কিছু তিন নম্বর ইট থাকলেও বেশিরভাগ এক নম্বর ইট দেওয়া আছে। এজিংয়ে কিছু পুরোনো ইট আছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তা পাথর দিয়ে তৈরি করে দিলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ থাকবে।
Advertisement
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বদলগাছী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, তিন নম্বর ইট দিয়ে কাজ শুরু হলে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন কাজ ভালো হচ্ছে। কাজ এখন ফিনিশিং হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক নয়।
আব্বাস আলী/এসআর/জেআইএম