দেশজুড়ে

কুমারখালীতে বৃষ্টির জন্য খোলা মাঠে নামাজ আদায়

বেশকিছু দিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। এতে সপ্তাহখানেক ধরে তীব্র গরম ও তাপদাহ চলছে। গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মাঠজুড়ে পুড়ছে ফসল। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। তীব্র এই তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির প্রত্যাশায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া দোপের মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ আদায় করা হয়। নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উল্টো টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য আগে থেকেই ফেসবুক ও মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে নিয়ামতবাড়ি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, জায়নামাজ নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। কিছুক্ষণ পরই নামাজ আদায় ও দোয়া পরিচালনার জন্য হাজির হন নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী। তিনি প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র দাবদাহ ও ক্ষরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।

Advertisement

কৃষক রহমত উল্লাহ বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। খুব তাপ। কলে (টিউবওয়েলে) ও বোরিংয়ে পানি উঠছে না। মাঠের ক্ষেতখোলা নষ্ট হচ্ছে। তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়েছেন তিনি।

নিয়ামতবাড়ি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. রমজান আলী বলেন, মানুষ সৃষ্ট পাপের কারণেই এমন অনাবৃষ্টি ও ক্ষরা হচ্ছে। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) ইস্তিসকা নামাজ পড়তেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আল-মামুন সাগর/এফএ/জিকেএস

Advertisement