বেনফিকার মাঠে ২-০ গোলে যে জয় পেয়েছিলো সেটাই শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছে ইন্টার মিলানের। কারণ, ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে পর্তুগিজ ক্লাবটিকে হারাতে পারেনি ইন্টার। বরং, ৬ গোলের ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে। শ্বাসরুদ্ধকর একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও, লাভ হলো না বেনফিকার। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের।
Advertisement
অন্যদিকে বেনফিকাকে বিদায় করার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে অনুষ্ঠিত হবে মিলান ডার্বি। অর্থ্যাৎ মিলানের দুই দল এসি এবং ইন্টার মিলান পরস্পর মুখোমুখি হবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে।
এর অর্থ, প্রায় ৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠতে যাচ্ছে ইতালির কোনো ক্লাব। ইন্টারমিলান ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথম কোনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। কোনো ইতালিয়ান ক্লাব হিসেবে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নও তারা। এরপর ২০১৫ এবং ২০১৭ সালের ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে পারেনি জুভেন্টাস।
ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ বলেন, ‘এটা হতে যাচ্ছে একটা স্পেশাল ডার্বি। আমরা সবাই জানি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে খেলতে যাওয়া এই ম্যাচটার অর্থ কি?’
Advertisement
বেনফিকার সঙ্গে কঠিন লড়াই হলেও ইন্টারমিলান একটু স্বস্তির সঙ্গেই খেলতে পেরেছে যে, তাদের বিদায় নিতে হচ্ছে না। ম্যাচের ১৪তম মিনিটেই গোল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন নিকোলো বারেলা। তবে ৩৮তম মিনিটে ফ্রেডরিক অরসনেস গোল করে বেনফিকাকে সমতায় ফেরান।
দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে আরও দুই গোল করে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলেছিলো ইন্টারমিলান। ৬৫তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা লওতারো মার্টিনেজ। ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন আরেক আর্জেন্টাইন তারকা জোয়াকিন কোরেয়া।
তবে শেষ মুহূর্তে গিয়ে পরপর দুই গোল করে ম্যাচটা জমিয়ে তোলে পর্তুগালের ক্লাবটি। ৮৬তম মিনিটে আন্তোনিও সিলভা। এরপর ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+৫ মিনিটে) শেষ গোলটি করেন পিটার মুসা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এর আগে আরও দু’বার পরস্পর মুখোমুখি হয়েছিলো এসি মিলান এবং ইন্টার মিলান। ২০০২-০৩ মৌসুমে সেমিফাইনালে এবং ২০০৪-০৫ কোয়ার্টার ফাইনালে। দু’বারই জয়ী দলটির নাম ছিল এসি মিলান।
Advertisement
আইএইচএস/এএসএম