যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়েছে চট্টগ্রামঅভিমুখী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টায় ছেড়ে যেতে পারেনি। ট্রেনটি তিনটা বগিতে এয়ার প্রেশার না থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত (সকাল ৯টা ১০ মিনিট) কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো আছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের এক কর্মকর্তা।
Advertisement
রেলওয়ের কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, ট্রেনটির পেছনের তিন বগির ব্রেকে প্রেশার না পাওয়ায় ছাড়তে সময় লাগছে। মূলত ইঞ্জিন থেকে বগিতে যে এয়ার প্রেশার থাকতে হয় তা খুব কম আসছে। সাধারণত ৫০০ বিপি সর্বোচ্চ থাকে সেখানে ৪০০ বা পৌনে ৪০০ হলেও চলতে পারে ট্রেন। পেছনের বগি তিনটা এমপিএস ব্রেক দিলেও এয়ার প্রেশার কম আসছে। তবে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে বললো জানান তিনি।
আরও পড়ুন>>> চালকের অবহেলায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার শিকার
এদিকে ট্রেনের সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তারা জাগো নিউজকে বলেন, সমস্যা হতেই পারে, তবে তার সঠিক ব্যাখ্যা যাত্রীদের বলা উচিত। রেলওয়ে থেকে কোনো সমস্যার কথাও জানানো হচ্ছে না, কতক্ষণ ঠিক হবে সেটাও বলা হচ্ছে না।
Advertisement
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা নিশাদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা ট্রেনের বগিতে বসেই আছি। কিন্তু জানতে পারছি না কখন ঠিক হবে। আসলে কোথায় সমস্যায় পড়েছে ট্রেনটি সেটাও জানি না। কখন বাসায় পৌঁছাতে পারবো বা কতক্ষণে সমস্যা দূর হবে সেটাও জানি না।
এর আগে গত রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পরপরই কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর স্টেশনে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ কয়েকটি বগি। এ দুর্ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার মো. মহসীন ও গার্ড আবদুল কাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ লক্ষে ৫৮৪টি টিকিটও বিক্রি হয়েছিল। তবে শিডিউল বাতিল করায় এর মধ্যে ২৬৭টি টিকিটে রি-ফান্ড করা হয়। বাকি ৩১৭ জন যাত্রীসহ বাকি টিকিট কাটা যাত্রীদের নিয়ে ট্রেনটি দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টার পর স্টেশন ত্যাগ করে বিশেষ ব্যবস্থায়। নতুন করে রেক লাগানো ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছিল সোনার বাংলা স্পেশাল।
আরও পড়ুন>>> মালবাহী ট্রেনে সোনার বাংলার ধাক্কা, আহত অর্ধশতাধিক
Advertisement
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে আপন ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। ট্রেন, লঞ্চ আর বাসযোগে যে যার মতো করেই গ্রামে রওনা হচ্ছেন। গত সোমবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা ২০মিনিটে রাজশাহী অভিমুখী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগেই অনলাইনে শতভাগ বিক্রি সম্পন্ন হয়েছে, যাত্রার দিন দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকিট বা দাঁড়ানো টিকিট।
অন্যদিকে কমিউটার ট্রেনে ঈদযাত্রায় অগ্রিম টিকিট দেওয়া হয় না। যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হচ্ছে এ ট্রেনের যাত্রীদের।
ইএআর/এমআইএইচএস/এএসএম