মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুর ফিতর উদযাপনে গ্রামে বাড়িতে ছুটছে মানুষ। কর্মজীবী মানুষ ছুটি কাটাতে ঢাকা ছাড়ছেন। এবার নাড়ির টানে বাড়ি ফেরায় চাপ নেই। টিকিট পেতেও নেই চিরচেনা ভোগান্তি। মোটামুটি স্বস্তির ঈদযাত্রা বলা যায়। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারগুলোতে চাপ কম। নেই টিকিট না পাওয়ার হাহাকার। সব কাউন্টারের সামনে দু-তিনজন লোক দাঁড়ানো। তারাও পেয়ে যাচ্ছেন প্রত্যাশিত টিকিট। দামেও নেই পকেট কাটার হিড়িক।
বাস কাউন্টারের প্রতিনিধিরাও এতে তুষ্ট। তারা বলছেন, শিডিউল অনুযায়ী গাড়ি আসছে, যাচ্ছে। বেশি মানুষের চাপ নেই। আবার গাড়ির আসনও খালি থাকছে না।
এদিকে, কল্যাণপুর ও গাবতলীর পুরো এলাকায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার কো হয়েছে। কাউন্টারের সামনেও অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি সড়কেও তাদের সরব উপস্থিতি।
Advertisement
গাবতলী বাস টার্মিনালের শ্যামলী কাউন্টারের সামনে কথা হয় রেজাউল করিম নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি যাবেন জয়পুরহাট। কাঙ্ক্ষিত টিকিটও পেয়েছেন। তবে তার অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ভাড়া ৬০০ টাকা, এখন নেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা।
তবে শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সুমন বলেন, এটা বেশি ভাড়া নয়। চার্টের নির্ধারিত ভাড়া। আমাদের সব গাড়ি শিডিউল অনুযায়ী আসছে এবং ছেড়ে যাচ্ছে। ৩০ মিনিট হয়তো এদিক-সেদিক হচ্ছে। এটা ঈদের সময়ে স্বাভাবিক চিত্র।
সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা রায়হান বলেন, ‘সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। পেছনের কিছু আসন খালি আছে। মানুষের চাপ আছে ভালো। এখন বেশির ভাগ টিকিটপ্রত্যাশীকেই ফিরিয়ে দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাড়া সবসময় একই। ঈদেও বাড়ানো হয় না। যার কারণে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে টার্মিনালে অন্যান্য কোম্পানির পর্যাপ্ত গাড়ি আছে। চাহিদামতো আসনও দেওয়া যাচ্ছে।’
Advertisement
দিনাজপুর যাবেন নুরে আলম। তার চাহিদা এসি বাসের টিকিট। রাত ১০-১১টার গাড়ির টিকিট পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি ইফতারের পরপর রওনা করতে চান। কিছুক্ষণ ঘুরে কাঙ্ক্ষিত টিকিটও কিনেছেন। তবে ভাড়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই। সপরিবারের নওগাঁ যাবেন মামুন। তিনিও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়েছেন।
এসইউজে/এএএইচ/এএসএম