পানির অপর নাম জীবন। পানি তৃষ্ণা মেটায় ও শরীরের সব অঙ্গের কার্যকারিতা ও ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে অনন্ত ৩-৪ লিটার পানি পান করা জরুরি।
Advertisement
অন্যদিকে শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স ও তাদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে পানি পান করাতে হবে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী। তবে নবজাতদের কি পানি পান করানো উচিত? এ নিয়ে হয়তো অনেক অভিভাবকরা সন্দিহান থাকে!
আরও পড়ুন: গরমে শিশুকে সুস্থ রাখতে যেভাবে যত্ন নেবেন
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, জন্মের কয়েক মাস পর নবজাতকের শরীর পানির জন্য প্রস্তুত হয় না। তাদের পাকস্থলী ছোট হয়, অন্যদিকে কিডনিও বিকাশ লাভ করতে শুরু করে।
Advertisement
এ কারণে জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত শিশুর আলাদা করে পানির প্রয়োজন হয় না। মায়ের বুকের দুধ বা ফর্মূলা খেলেই তাদের পুষ্টি মেলে।
একটি নবজাতকের পেটে মাত্র ১-২ চা চামচ বা ৫-১০ মিলিলিটার জায়গা থাকে। তাই অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছুই শিশুকে খাওয়ানো উচিত নয়। এতে শিশুর সমস্যা হতে পারে।ৎ
আরও পড়ুন: শিশুর কাশি হলে যে ৩ ফল খাওয়ানো বন্ধ করবেন
তাহলে শিশুকে কখন পানি পান করানো শুরু করবেন?
Advertisement
প্রথম কয়েক মাস শিশুদের সাধারণত পানির প্রয়োজন হয় না। একটি নবজাতকের সব তরল চাহিদা বুকের দুধ বা ফর্মুলা দ্বারা পূরণ হয় ৬ মাস পর্যন্ত।
শিশুর ফর্মূলা তৈরি করতে বা শিশুকে প্রথমবার পানি দেওয়ার আগে আপনার পানি বিশুদ্ধ কি না তা পরীক্ষা করুন।
আরও পড়ুন: সন্তানের ওজন কম কি না বুঝবেন যেভাবে
কলের পানিতে ফ্লোরাইড থাকতে পারে, যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে এমনতি এতে থাকা সীসার মাত্রা শিশুর জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ মাস বয়স থেকে শিশুদের প্রতিদিন আধা কাপের একটু বেশি পানি পান করাতে হবে।
এর পাশাপাশি স্তন্যপান করালে শিশুর আর তরলের প্রয়োজন হবে না। সবচেয়ে ভালো হয় শিশুকে পানি দেওয়ার আগে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া।
আরও পড়ুন: গরমে কত লিটার পানি পান করলে সুস্থ থাকবেন?
শিশুর ১-৩ বছর বয়স হলে প্রতিদিন চার কাপ পানি পান করাতে হবে। আপনার শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও পানির প্রয়োজন হবে।
শিশু পানি পান করতে না চাইলে তাকে ফলের রস এমনকি তরল খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম