আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইলীদেরকে গরু জবাই করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তারা প্রথমে গরু জবাই করার বিষয়ে হঠকারিতা শুরু করে। পরবর্তীতে তারা হজরত মুসা আলাইহিস সালামকে গরু জবাই করার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা শুরু করে। অথচ তারা যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই সমাধান হয়ে যেতো। মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে গরুর বিবরণ সম্পকির্ত কথা-বার্তা কুরআনে উল্লেখ করে আল্লাহ তাআলা বলেন-তারা (বনি ইসরাইল) বলল, আপনি (মুসা আলাইহিস সালাম) আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন, যেন সেটির (গরুর) রূপ বিশ্লেষণ করা হয়। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলছেন, সেটা হবে একটা গাভী, যা বৃদ্ধ নয় এবং কুমারীও নয়-বার্ধক্য ও যৌবনের মাঝামাঝি বয়সের। এখন আদিষ্ট কাজ করে ফেল। তারা বলল, আপনার পালনকর্তার কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন যে, তার রঙ কিরূপ হবে? মুসা (আলাইহি সালাম) বললেন, তিনি বলেছেন যে, গাঢ় পীতবর্ণের গাভী-যা দর্শকদের আনন্দ দান করবে। তারা বলল, আপনি প্রভুর কাছে প্রার্থনা করুন-তিনি বলে দেন যে, সেটা কিরূপ? কেননা, গরু আমাদের কাছে সাদৃশ্যশীল মনে হয়। ইনশাআল্লাহ এবার আমরা অবশ্যই পথপ্রাপ্ত হব।মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তিনি বলেন যে, এ গাভী ভূকর্ষণ (চাষাবাদে) ও জল সেচনের শ্রমে অভ্যস্ত নয়। তা হবে নিষ্কলঙ্ক, নিখুঁত। তারা বলল, এবার সঠিক তথ্য এনেছ। অতপর তারা সেটা জবাই করল, অথচ জবাই করবে বলে মনে হচ্ছিল না। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৬৮-৭০)কুরআনের এ ঘটনা আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। যে কোনো বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বনি ইসরাইল যে কোনো একটি গরু জবাই করলেই হত্যাকাণ্ডের সমাধান হয়ে যেতো। বাড়াবাড়ির ফলে তারা অনেক চড়া মূল্যে উল্লেখিত গুণাবলী সম্বলিত গরু ক্রয় করতে হয়েছে।সুতরাং আল্লাহর বিধান নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ি নয়। আল্লাহ তাআলা তাঁর হুকুম পালনে উম্মাতে মুহাম্মাদিকে তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement