চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২২ বা ২৩ এপ্রিল উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে বুধবার (১৯ এপ্রিল) সরকারি ছুটি হলেও মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) অফিস শেষে বিকেল থেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে, এবার অন্যান্য বছরের মতো রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড় নেই। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। এ রুটের অনেক যাত্রী এখন পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তাই এখানে বাস ও টিকিট মিলছে সরাসরি। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস।
Advertisement
বুধবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গাবতলীতে যাত্রা না হওয়া প্রসঙ্গে কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, আগে খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, নড়াইলের যাত্রীরা গাবতলী হয়ে বাড়ি যেতেন। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এসব জেলার মানুষ আর গাবতলী আসেন না। এ অঞ্চলের যাত্রীরা সায়েদাবাদ হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে গাবতলী বাস টার্মিনালে সেই চিরচেনা ভিড় নেই। এছাড়া ঈদের বাড়তি ছুটি ও পোশাক কারখানায় বন্ধ না হওয়ায় যাত্রী মিলছে না।
ঢাকা-বরিশালগামী সূর্যমুখী পরিবহনের ম্যানেজার মো. সারোয়ার হোসেন বলেন, হিসেবে ঈদের বাকি তিনদিন। এ সময় আগে গাবতলীতে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল হতো, কিন্তু এখন ফাঁকা কাউন্টার। অনেক যাত্রী পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি ফিরছেন। তবে, আশা করছি পোশাক কারখানা ছুটি হলে যাত্রী কিছুটা হবে।
তিনি বলেন, ঈদের আগে গাবতলীতে বাসের টিকিট এক সময় সোনার হরিণ ছিল। টিকিটের পেছনে ছুটতে গিয়ে ক্লান্ত হতেন যাত্রীরা। অথচ গাবতলীতে যাত্রীরাই এখন জামাই আদরে রয়েছে।
Advertisement
বরিশাল গৌরনদীর যাত্রী সুমন মাতব্বর বলেন, গাবতলীতে এসেই টিকিট সংগ্রহ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ এবার সহজেই টিকিট সংগ্রহ করছি।গাবতলীতে কোনো ভিড় নেই।
কাউন্টার মাস্টারদের দাবি, ২১ এপ্রিল থেকে যাত্রী চাপ কিছুটা হতে পারে। ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার রুবেল বলেন, গাবতলীর সব যাত্রী পদ্মা সেতু হয়ে যাতায়াত করছেন। গাবতলী একদম ফাঁকা। অনেক টিকিট কাউন্টারও বন্ধ। যাত্রী সংকটে অনেক বাস ছাড়তে পারছি না।
এমওএস/এমএএইচ/এমএস
Advertisement