কক্সবাজার সৈকত তীরের জলে ভাসছে বড় আকারের একটি মৃত তিমি। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের রামু উপজেলার সৈকতের দরিয়ানগর পয়েন্ট থেকে রেজুরব্রিজ পর্যন্ত সাগরে মৃত তিমিটি ভাসতে দেখা গেছে।
Advertisement
গেলো বছরের ৯ এবং ১০ এপ্রিল একই জায়গায় এক জোড়া তিমির মরদেহ ভেসে এসেছিল বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা। রামু উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তারাই (বন বিভাগ) এসব মরদেহ বালিয়াড়িতে পুঁতে ফেলার কাজ করেছিলেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত বিচ কর্মীরা বলেন, স্পিডবোটযোগে সাগরে তিমিটির ভাসমানস্থলে গিয়ে তারা এটির ছবি ধারণ করেন। এটি পচে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তিমিটির শরীরে মাছ ধরার জাল পেঁচানো অবস্থায় দেখা গেছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে প্রাণীটির মৃত্যু হতে পারে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মৃত তিমিটিকে সাগরের পানিতে ভাসতে দেখা গেছে। এটি জোয়ার-ভাটায় কোথায় গিয়ে আটকাচ্ছে তদারকিতে রাখা হয়েছে। সমুদ্র তীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সব বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ভাসমান মৃত তিমিটি দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০ ফুট। এটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিমিটির অন্তত সপ্তাহ বা পক্ষকাল আগে মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বুরি) মহাপরিচালক ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে সাগরে মৃত তিমিটি ভাসার খবর পেয়ে বুরির একটি দল ড্রোনের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওচিত্র সংগ্রহ করে। পরে ছবিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে- মৃত তিমিটি ‘ব্রাইডস’ প্রজাতির। তিমিটির শরীর মাছ ধরার জাল পেঁচানো অবস্থায় আছে। তিমিটির মাথায় আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।
বুরির ডিজি আরও বলেন, তিমিটি জোয়ার-ভাটার কারণে প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন করছে। এটি কূলে ভেসে এলে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
সায়ীদ আলমগীর/এসজে/এমএস
Advertisement