আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার চারদিন পর মুখ খুললেন বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
Advertisement
বরিশাল সিটিতে সাদিক আব্দুল্লাহর বদলে তার চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর আর বরিশাল যাননি তিনি। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় অবস্থান করছেন সাদিক।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে বরিশালের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে সবার উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি আমাদের অভিভাবক (আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ) মহানগর ও জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি আমার চাচাকে মেয়র পদে নমিনেশন দিয়েছেন। তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এতে কারও কোনো সন্দেহ আছে?
এসময় সামনে থাকা সবাই সমস্বরে বলেন, না সন্দেহ নেই।
Advertisement
বরিশালের মেয়র বলেন, এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাঝখান দিয়ে অন্য লোকজন ফায়দা নেয়। সবার উদ্দেশে বলছি, যারা লাফালাফি করছে সুবিধাভোগী লোকজন, এরা তো করবেই স্বাভাবিক। আমরা অপেক্ষা করছি বাবা কখন মিটিং ডাকবেন, মহানগর ও জেলার নেতাদের সঙ্গে। তখন বাবার সঙ্গে আমি আসবো।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, আজকে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি একটা বিষয় ক্লিয়ার করার জন্য। সেটা হলো, এখানে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
অন্য ঈদ বরিশালে করলেও এবার বাবার সঙ্গে ঢাকায় ঈদ করবেন বলেও জানান সাদিক আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, সবসময় আপনাদের সঙ্গে ঈদ করি। এবার সুযোগ পেয়েছি বাবার সঙ্গে ঈদ করার। দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।
গত শনিবার (১৫ এপ্রিল) আওয়ামী লীগের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে। মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর কর্মী-সমর্থকদের দখলে থাকা বাস্ট, স্পিডবোট ঘাট অন্যরা দখলে নিচ্ছেন, এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে।
Advertisement
গত ৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৬ মে। ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ২৫ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ২৬ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এমআরআর/এমএস