রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পবিত্র লাইলাতুল কদর মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বরকত ও পুণ্যময় রজনী। অসীম দয়ালু মহান আল্লাহ্ এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনে হাজার মাসের চেয়েও বেশি ইবাদতের নেকি লাভের সুযোগ এনে দেয় এই রাত। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়।
Advertisement
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি শবে কদরের রাতে কুরআন নাজিল করেছি’। তাই মুসলিম উম্মাহর নিকট শবে কদরের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যাধিক। এই মহিমান্বিত রজনী সবার জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের অপার সুযোগ নিয়ে বরকতময় পবিত্র শবে কদর আমাদের মাঝে সমাগত। মহিমান্বিত এই রজনীতে আমি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য মাগফিরাত ও কল্যাণ কামনা করছি।
Advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনা মহামারি, সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ, অভাব-অনটনসহ বিভিন্ন কারণে হাজার হাজার মানুষ অসহায় অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। আসুন শবে কদরের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সব সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি।
আমি পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও কল্যাণের জন্য প্রার্থনা জানাই। সমগ্র বিশ্ব যেন মানবজাতির জন্য শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন। আমীন।
এইচএস/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement