কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে চলছে তীব্র দাবদাহ। গরমে ঘরের বাইরে পা ফেলা দায়। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না কেউ। আর তার প্রভাব পড়েছে ঈদবাজারেও। অন্যবার ঈদের আগে বাংলাদেশি পর্যটকে মুখর থাকে যে কলকাতা নিউমার্কেট, সেখানেও এখন লোকসমাগম কম।
Advertisement
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েক দিন কলকাতার তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্ৰি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে। গরমের তেজে শরীরের জ্বালাপোড়া ভাবও থাকবে বেশ।
আরও পড়ুন>> তাপপ্রবাহে পশ্চিমবঙ্গে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা
এই দাবদাহ পরিস্থিতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে এনেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঘোষণা দিয়েছেন, ১৭ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
Advertisement
বিশেষ কাজ না থাকলে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভালো। তবে একান্ত প্রয়োজনে বের হলে সঙ্গে ছাতা, পানি, সানগ্লাসের পাশাপাশি অবশ্যই ফুলহাতা জামা পরে বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসাকেরা।
আরও পড়ুন>> বিয়ের মৌসুমে কলকাতায় কেনাকাটার সেরা ঠিকানা
সারাদিন খরতাপের পর বিকেলের দিকে গরম একটু কমলেও জ্বালাপোড়া ভাবটা থাকছে। এ কারণে দিনের বেলা কলকাতা নিউমার্কেট এলাকায় জনস্রোত সেভাবে দেখা না গেলেও সন্ধ্যার পরে কেনাকাটার জন্য বের হচ্ছে মানুষ।
এই নিউমার্কেট এলাকাটিকে বলা হয় কলকাতায় অবস্থিত ‘এক টুকরো বাংলাদেশ’। এখানকার ব্যবসাগুলো সাধারণত বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। যত বেশি বাংলাদেশি পর্যটক, তত বেশি বেচাকেনা, তত বেশি লাভ। ঈদ উপলক্ষে প্রচুর বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতায় আসেন কেনাকাটা করতে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> পা ফেলার জায়গা নেই নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন ইফতারি বাজারে
তবে সাম্প্রতিক দাবদাহের কারণে সেভাবে বাংলাদেশি পর্যটকদের আগমন ঘটেনি শহরে। তার ফলে রমজান মাসের শেষভাগেও ঈদের কেনাকাটা জমে ওঠেনি কলকাতা নিউমার্কেটে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, গরম কমলে বাংলাদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বে।
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আসা মো. সেলিম জানান, কলকাতায় ব্যক্তিগত কাজে এসেছি। তবে পরিবারের জন্য ঈদের কেনাকাটাও করা হবে। তবে গরম যেভাবে পড়েছে, সে কারণেই হয়তো এখানে খুব বেশি বাংলাদেশি পর্যটক চোখে পড়ছে না।
আরও পড়ুন>> সেহরিতে ঘরের চেয়ে বাইরের খাবারে টান কলকাতাবাসীর
মুক্তা বেগম নামে আরেক বাংলাদেশি জানান, স্বামীর চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসেছি। তিনি বলেন, কলকাতা নিউমার্কেটে নারীদের জন্য যেসব পোশাক রয়েছে, সচরাচর বাংলাদেশে তা দেখা যায় না। সামনে ঈদ, তার আগে পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের জন্য উপহার নিতে হবে। তাই একসঙ্গে দুটো কাজ হয়ে গেলো।
মুক্তা বেগমের অভিমত, এখানে এসে দেখছি, প্রসাধনী সামগ্রী খুবই সস্তা।
আরও পড়ুন>> স্বাদে নামিদামি রেস্তোরাঁকেও টেক্কা দেয় কলকাতার পাইস হোটেলগুলো তীব্র দাবদাহে বাংলাদেশি ক্রেতা কম থাকায় নিউমার্কেটে ঈদের বেচাকেনা চলছে ঢিমে তালে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, গরম কমলে বাংলাদেশি পর্যটক বাড়বে। তখন শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা হয়তো আরেকটু বাড়বে।
কেএএ/